
পেট্রাপোল : প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশকে নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্থলবন্দরগুলি দিয়ে রেডিমেড পোশাক-সহ বেশ কিছু সামগ্রী আমদানি বন্ধ করেছে ভারত। দুই দেশের বাণিজ্যে যা প্রভাব পড়তে পারে বলেই ধারণা ব্যবসায়িক মহলে। কী বলছেন বনগাঁ পেট্রাপোলের ব্যবসায়ীরা?
পণ্য আমদানি বন্ধ হলে স্থলবন্দরের সঙ্গে যুক্ত পোর্টার, শ্রমিকদের উপর কিছুটা প্রভাব পড়বে, তবে বাংলাদেশকেও একটা বার্তা দেওয়া প্রয়োজন ছিল বলছেন ব্যবসায়ীরা। পেট্রাপোল আন্তর্জাতিক ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটা বড় বার্তা দেওয়া হলো। আমরা যেন বাংলাদেশের কাছে একটা ভিলেন হয়ে গিয়েছি। যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, আমাদের রাষ্ট্র নেতারা সাহায্য করেছিলেন। আজকে তার কোনও মূল্যায়ন আমাদের কাছে নেই। ভারতের বিরুদ্ধে যে প্রচার হচ্ছে বাংলাদেশে, সেটার জন্যেই ব্যবসায় প্রভাব পড়ে।’

কেন্দ্রের তরফে শনিবার বন্দর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়, রেডিমেড পোশাক, প্যাকেট জাতীয় পানীয়, কাঠের আসবাবপত্র-সহ কিছু সামগ্রী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, পেট্রাপল দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যা আমদানি হয়, তার মধ্যে ৪০ শতাংশই হয় রেডিমেড পোশাক।

পেট্রাপোল সীমান্ত বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সিয়াম লজিষ্টিক কোম্পানির কর্ণধার সুমন রায় জানান, বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর ব্যবহার করে সারাদিনে যা গাড়ি ঢোকে ভারতে তার প্রায় ২৫ শতাংশ গাড়ি পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আসে। পেট্রাপোল দিয়ে পোশাক-সহ বেশ কিছু প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রী, প্লাস্টিকের সামগ্রী আসে বাংলদেশ থেকে। এই সব পণ্য আমদানি বন্ধ করে বাংলাদেশে আর্থিক প্রভাব পড়বে বলেই জানাচ্ছেন তিনি।
