দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠের খোঁজে এবার ঝাড়খণ্ডে পাড়ি দিল আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার হাজারিবাগের একটি হোটেলে তল্লাশি চালায় আয়কর দপ্তর। কিন্তু ওই ব্যক্তির দেখা মেলেনি। আধিকারিকরা আসার আগেই তিনি হোটেল ছাড়েন।
সূত্রের খবর, ইডির মাধ্যমে ওই পার্থ ঘনিষ্ঠের খোঁজ পায় আয়কর দপ্তর। সম্প্রতি আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পারেন, ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের হোটেলে উঠেছেন ওই ব্যক্তি। শুক্রবার বিকেলে ভাণ্ডারা পার্কের ওই হোটেলে হানা দেন আধিকারিকরা। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় হোটেল চত্বর।তবে আধিকারিকরা হোটেলে পৌঁছনোর আগেই সেখান থেকে পালান পার্থ ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তি।
ইডির তরফে আয়কর দপ্তরকে জানানো হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির কাছে প্রচুর নগদ টাকা রয়েছে। এর পরেই ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু হয়। জানা গেছে প্রথমে ভাণ্ডারা পার্কের সমস্ত প্রবেশপথ বন্ধ করে দেন আয়কর আধিকারিকরা। মাল্টিপ্লেক্স, হোটেল, অনুষ্ঠান বাড়ি–সমস্ত গেট বন্ধ করে খোঁজ শুরু হয়। প্রায় আট ঘণ্টা হোটেলে তল্লাশি চলে। হোটেল কর্মীরা জানিয়েছেন কলকাতা থেকে সরকারি গাড়ি করে হোটেলে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে ছিল একটি বড় ব্যাগ। অনুমান ওই ব্যাগে ছিল বিপুল পরিমাণ টাকা।
অন্যদিকে ,গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই অনুব্রতর সম্পত্তির খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিবিআই। মিলেছে একাধিক রাইস মিলের হদিস। এছাড়াও পাঁচটি দামি গাড়ির সন্ধানও পাওয়া গেছে। আগেই অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ১৭ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। কিন্তু তাঁর নামে কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই, কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় বললেন অনুব্রত।
গ্রেফতার হওয়ার পর দ্বিতীয়বার মুখ খুললেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা। সিবিআই বারবারই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। সেই প্রশ্ন আজ অনুব্রতকে করা হলে তিনি জানান, ‘তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করছি’।
নিজাম প্যালেসে তাঁকে গত কয়েকদিন ধরে জেরা করছেন আধিকারিকরা। তাঁর সম্পত্তির খোঁজ চলছে। তাঁর সম্পত্তির সঙ্গে গরু পাচার মামলার কোনও যোগ আছে কিনা সেটাও সিবিআইয়ের আতস কাচের নিচে রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বোলপুরের ‘ভোলে ব্যোম রাইস মিল’-এ অভিযান চালায় সিবিআই। সেই মিলের গ্যারেজে মিলেছে একাধিক দামি গাড়ি। এছাড়াও রাজ্যে আরও কয়েকটি চালকলের হদিশ মিলেছে বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে এদিন অনুব্রত দাবি করেন, তাঁর নামে কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই। তিনি আরও বলেন, ‘ওঁরা তদন্ত করে দেখুক’।
এদিকে নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে আসানসোলের আদালত চত্বর। প্রয়োজন ছাড়া কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আসানসোল থেকে বার্নপুর যাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।