দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আদালতের নির্দেশেই চিকিৎসার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শনিবার সন্ধ্যায়৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রীর রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি রয়েছে৷ পাশাপাশি, তাঁর বুকে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী৷ এছাড়াও তাঁর পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে বলেও চিকিৎসকদের জানিয়েছেন পার্থবাবু৷
এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিলিওজি বিভাগের আইসিসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷
২৭ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরার পর অবশেষে শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে । তবে গ্রেফতারির আগে শনিবার সকালে অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন পার্থ। তখনই এসএসকেএম থেকে চিকিৎসকদের বিশেষ দল এসে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। তারপর পার্থকে নিজেদের হেফাজতে নেন ইডির আধিকারিক। তবে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলার আগে পুনরায় তাঁর মেডিক্যাল চেকআপ করা হয়। শনিবারও জেলা চলাকালীন সময় পার্থর রুটিন চেকআপ করে গিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
এদিকে এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক পার্থর দুদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে৷ তাঁর আইনজীবীরা এ দিন সংবাদমাধ্যমের সামনেও দাবি করেছেন, গ্রেফতারির পর যথেষ্টই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী৷
এদিকে পার্থর আইনজীবীরা জানিয়েছেন তাঁর শারীরিক অসুস্থতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বুকে ব্যথার পরিমাণও বেড়েছে। এরপরই পার্থকে রাজ্যের কোনও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাঙ্কশাল কোর্টে লিখিত আবেদন করেন পার্থর আইনজীবীরা। ইতিমধ্যেই তাদের দাবিতে সাড়া দিয়েছে আদালত। তদন্তকারী আধিকরকদের দ্রুত পার্থকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এ মামলায় পরবর্তী হিয়ারিং আছে আগামী ২৫ তারিখ। ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে পার্থর। সেদিনও যে হাসপাতালে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ভর্তি করা হবে তাদের কোর্টে পার্থর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে একটি রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর,পার্থকে ভর্তি করা হয়েছে আইসিইউতে ১৮ নম্বর বেডে। তৈরি হয়ে ৬ সদস্যের মেডিকেল টিম। বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন কার্ডিওলজি, বক্ষ, অর্থোপেডিক, নেফ্রোলজি, মেডিসিন, এন্ডোক্রিনোলজির চিকিৎসকরা।
ইডির হাত ধরে ২১ কোটি টাকা উদ্ধারের পর উত্তাল গোটা রাজ্যই। কিন্তু, পার্থ গ্রেফতারি নিয়ে তৃণমূলে অবস্থান কী? জানতে মুখিয়ে ছিল গোটা রাজ্যই। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতারা। সেখানে কুণাল ঘোষ ফের দাবি করেন অর্পিতার বাড়িতে টাকা উদ্ধারের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই।
কুণাল বলেন, “আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সবটা নজরে রেখেছেন। সার্বিকভাবে বিজেপি চক্রান্তের রাজনীতি করছে, সিপিএম-কংগ্রেস যে কুৎসা করছে।” অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পার্থদা ওয়াশিং মেশিনে ঢুকে গেলে কিছুই হত না। বিজেপি তে গেলে সাধু, তৃণমূলে থাকলে চোর। তৃণমূল অন্যায় করে না, অন্যায় সহ্য করে না।”