দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে’র রহস্যমৃত্যুতে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এবার ওই ঘটনায় নয়া মোড়। টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যুর এক দিন পর গড়ফা থানায় অভিনেত্রীর লিভ ইন সঙ্গী সাগ্নিক এবং তাঁর বান্ধবীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করলেন পল্লবীর মা–বাবা।
তাঁর অভিযোগের তির পল্লবীর প্রেমিক সাগ্নিকের দিকে রয়েছে। তাঁর অভিযোগে সাগ্নিকের সঙ্গীর নামও রয়েছে।
ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতেই অভিনেত্রী পল্লবী দে–কে খুন করেছেন তাঁর লিভ–ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী, থানায় এমনই অভিযোগ জানালেন পল্লবীর বাবা। তিনি লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, এই খুনের নেপথ্যে অভিনেত্রীর উপার্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করারও উদ্দেশ্য ছিল খুনির।
রবিবার গড়ফার ফ্ল্যাটে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই ফ্ল্যাটেই পল্লবীর সঙ্গে থাকতেন সাগ্নিক। এই ঘটনায় প্রথমে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছিল। পরে নানা তথ্য প্রকাশ্যে আসতে থাকে।
সোমবার বিকেলেই গড়ফা থানায় অভিযোগ জানাতে আসেন তাঁর বাবা নীলু দে। সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রীর মা সঙ্গীতা দে এবং তাঁদের পরিবারের আইনজীবীও।
তবে পুলিশের কাছে শুধু সাগ্নিকের বিরুদ্ধে নয়, ওই তরুণীর বিরুদ্ধেও পল্লবীকে খুন করার অভিযোগ লিখিয়েছেন নীলু। পল্লবীর বাবার অভিযোগ, পল্লবীর থেকে নিয়মিত অর্থসাহায্য নিতেন সাগ্নিক। যা বিভিন্ন সময়ে ব্যাঙ্ক লেনদেনের মাধ্যমে তাকে দিয়েছেন পল্লবী। সেই সব লেনদেনের তথ্যও রয়েছে পল্লবীর পরিবারের হাতে।
আর এর পাশাপাশিই অন্য এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে গিয়েছেন সাগ্নিক। যা সম্প্রতি জানতে পেরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। থানায় পল্লবীর বাবার অভিযোগে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পল্লবীর মৃত্যুর জন্য শুধু সাগ্নিক নয়, সাগ্নিকের ওই বান্ধবী এবং তাঁর সঙ্গীরাও দায়ী।
তাঁরাই প্ররোচনা দিয়েছেন পল্লবীকে। এই অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে পল্লবীর সহকর্মীদের বয়ানের কথাও উল্লেখ করেছেন অভিনেত্রীর বাবা। পল্লবীর মা–বাবা খুনের অভিযোগ দায়ের করার পর সাগ্নিকের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা প্রবল হল।
উল্লেখ্য, বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ গতকাল উদ্ধার হয় গড়ফার বাড়ি থেকে। পুলিশ জানতে পারে সেই বাড়িতেই গত কয়েকদিন ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকছিলেন তাঁরা। এর আগে দুজনেই থাকতেন হাওড়ায়।