এই নাকি প্রতিবেশি! বিপদেও পাশে দাঁড়াল না পাকিস্তান।

মাঝ আকাশে যাত্রীদের মৃত্যভয়। ঝড়ে বেসামাল বিমান। তুমুল শিলাবৃষ্টি। নাক-ভাঙা সেই ইন্ডিগোর পাইলট বিপত্তি এড়াতে পাক আকাশসীমা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখেনি পাকিস্তান । এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।

বুধবার সন্ধ্যায় মাঝ আকাশে টার্বুলেন্সে পড়ে দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ইন্ডিগো বিমানের একটি ফ্লাইট (6E2142)। তীব্র শিলা বৃষ্টির ফলে বিমানে বিপজ্জনকভাবে ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে, পাইলট বাধ্য হন শ্রীনগর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে (ATC) জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে।

জানা যাচ্ছে, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একজন পাইলট লাহোর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে কিছুক্ষণ পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের করতে দেওয়ার জন্য অনুমতি চান। যাতে ঝড় থেকে যাত্রীদের রক্ষা করা যায়। কিন্তু সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়। সেই সময় হাওয়ার গতি ছিল ঘণ্টায় ৭৯ কিলোমিটার। পরিস্থিতি এমন ছিল যে বিমানের ‘নাক’ ভেঙে যায়।

বড়সড় দুর্ঘটনার ঘটে যেতে পারত। তবে কপাল জোরে বেঁচেছেন দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ওই ইন্ডিগো বিমানের যাত্রীরা। ওই বিমানে ছিলেন কাশ্মীর সফরকারী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলও ।
যে সময় এই ঘটনা ঘটেছিল তখন বিমানটি শ্রীনগরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছিল। প্রবল শিলাবৃষ্টির ফলে বিমানের সামনের অংশ, বিশেষ করে ‘নোজ কন’-এর কিছুটা অংশ ভেঙে যায়। তবে পাইলট ও ক্রুর তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত বিমানটি সন্ধে ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ নিরাপদে শ্রীনগর বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শ্রীনগর বিমানবন্দরের আধিকারিকরা নিশ্চিত করেন, বিমানে থাকা ২২৭ জন যাত্রী এবং সমস্ত ক্রু সদস্য সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছেন। তবে বিমানের ক্ষতির মাত্রা এতটাই যে, আপাতত সেটি মেরামতির জন্য উড়ানে ফিরছে না।
পহেলগাম হামলার জেরে দুই দেশের মধ্যে যে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, সেই সময়েই ভারতের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল পাকিস্তান। অন্য দিকে পাকিস্তানি বিমানগুলিকেও ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিচ্ছে না নয়াদিল্লি। তবে বুধবার সন্ধ্যার পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। শত্রুতা ভুলে একটু মানবিকতা দেখাতেই পারত ইসলামাবাদ। তাদের সামনে সুযোগ ছিল দুই দেশের সম্পর্ক মেরামত করার। ভারত কিন্তু তাদের একটা আবেদনেই সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।