Pahalgam Terror Attack কাশ্মীরে আটকে বনগাঁর একাধিক পর্যটক, উদ্বিগ্ন পরিবার: দেখুন ভিডিও

0
20
রাহুল দেবনাথ , দেশের সময়

বনগাঁর একাধিক পর্যটক কাশ্মীরে আটকে পড়েছেন। তাঁদের অনেকের গন্তব্যস্থল ছিল পহেলগাঁও। ভূস্বর্গের সৌন্দর্য দেখতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন বনগাঁর শিমুলতলার পর্যটকরা। দেখুন ভিডিও

ভ্রমণপিপাসু বাঙালির স্বপ্নের ডেস্টিনেশন কাশ্মীর। সকলেরই আশা থাকে জীবনে একবার অন্তত ভূস্বর্গকে চাক্ষুষ করার। ফলে প্রতিবছরই বহু পর্যটক ভিড় জমান সেখানে। এবছরও অন্যথা হয়নি। তারই মাঝে আচমকা জঙ্গি হানা। চোখের নিমেষে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। স্বাভাবিকভাবেই কাশ্মীরে থাকা পর্যটকরা ভীত। যাদের আরও কয়েকটা দিন পর বাড়ি ফেরার কথা ছিল, তাঁরাও চাইচেন যতদ্রুত সম্ভব ঘরে ফিরতে। এদিকে ক্রমশ  প্রতি মুহূর্ত প্রাণভয় নিয়ে কাটাচ্ছেন বলেই জানাচ্ছেন পর্যটকের।

জানা গেছে,কাশ্মীর থেকে তাঁদের সরানো হচ্ছে। পরিবারের লোকজন তীব্র উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। বাড়ি ফেরার টিকিট কারোর তিন দিন, কারোর আবার চারদিন পর। অনেকে আবার এই অবস্থায় বেশি টাকা খরচ করে প্লেনের টিকিট কাটতে বাধ্য‌ হচ্ছেন। জঙ্গি হামলায় তাঁরা সকলেই বিপদে পড়েছেন।

কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর আটকে পড়েছেন বনগাঁ সীমান্ত এলাকার দুই পরিবারের প্রায় ১০ জন পর্যটক। বাড়িতে চরম উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছে ওই দুই পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, শিমুলতলা চামড়াকুঠি এলাকার মদোক পরিবারের পাঁচজন এবং বনগাঁ কলঘাট এলাকার সাধু পরিবারের ৫ সদস্য আলাদা আলাদা ভাবে কাশ্মীরে বেড়াতে যান।

মদোক পরিবারের ৫ সদস্যের সঙ্গে একবার ফোনে যোগাযোগ করা গেলেও, তারপর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলেই জানান পরিবারের সদস্যরা। তবে কোনো হোটেলে নয়, রাস্তায় আটকে রয়েছেন সেই খবরই আসে পরিবারের কাছে। তারপর থেকেই আতঙ্কে পরিবারের অন্যান্যরা। দ্রুত পরিবারের সদস্যরা সুস্থভাবে ফিরে আসুক চাইছে মোদক পরিবার।

অপরদিকে, ১৫ তারিখে প্রথমে দিল্লি থেকে কাশ্মীরে পৌঁছায় সাধু পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে শ্রীনগর ঘুরে তারপর পহেলগাঁও যাওয়ার কথা থাকলেও, পরিবারের সদস্যরা আগেই পৌঁছে যান পহেলগাঁওয়ে। যেদিন জঙ্গি হামলা হয় সেদিন ওইখানেই থাকার কথা ছিল সাধু পরিবারের প্রায় ৫ জন সদস্যের। তবে ভাগ্যের জোরেই যেন প্রাণ বেচেছে মনে করছেন পরিবারের সদস্যরা।

জানা গিয়েছে একদিন আগেই পেহেল গাওয়ের ওই ঘটনাস্থলে ঘুরে এসেছিলেন সকলে। তবে জঙ্গি হামলার ঘটনার খবর শুনতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এখনও যেন চোখের পাতা এক করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।

ভূস্বর্গ মিনি সুইজারল্যান্ড এখন যেন হয়ে উঠেছে মৃত্যুপুরী। জঙ্গী হামলা ঘটনার পর যোগাযোগ করা না গেলেও পরবর্তীতে সন্ধ্যের পর সাধু পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তখনই জানতে পারেন, সেই দিন নয় তার একদিন আগেই পহেলগাঁও ঘুরে এসেছেন সকলে। ফলে একপ্রকার ভাগ্যের জোরেই প্রাণে বেঁচেছেন বাবা-মা, সন্তান সহ সাধু পরিবারের সদস্যরা ।  বর্তমানে তারা ফিরে বাড়িতে ফিরে আসছেন বলে জানান , সাধু পরিবারের সদস্য চিরশ্রী সাধু। তবে যতক্ষণ না পরিবারের সদস্যরা সুস্থ শরীরে ঘরে ফিরছে ততক্ষণ যেন উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন বনগাঁর এই দুই পরিবারের সদস্যরা ।

Previous articleViral পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনার পর আতঙ্কে পাকিস্তান! গুগ্‌লে কী  সার্চ করছেন পাক নাগরিকেরা?
Next articlePahalgam Attack পহেলগাঁওকাণ্ড: ‘অ্যাকশন’ নিতে হয় নিন ,পূর্ণ সমর্থন দেবে বিরোধীরা : সর্বদলের বৈঠকে রাহুল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here