স্বর্গের মতো সুন্দর বৈসরণ উপত্যকায় লেগেছে রক্তের দাগ। ধর্ম জিজ্ঞেস করে মারা হয়েছে একের পর এক পর্যটককে। আর তারপর শুরু হয়েছে প্রত্যাঘাত। একদিকে কাশ্মীরের পাহাড়ে চলছে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি, অন্যদিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক জঙ্গির বাড়ি। শুক্রবার সকালের পর রাতেও গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আরও অন্তত দুই জঙ্গির বাড়ি।
পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হানায় জড়িত আসিফ শেখের বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে শুক্রবার। কাশ্মীরের ত্রালে ছিল আসিফের বাড়ি। সেটি সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছে। গত ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হানায় যে চারজন জঙ্গি যুক্ত ছিল, তার মধ্যে দুইজন কাশ্মীরেরই বাসিন্দা। সেই আদিল গুরে ও আসিফ শেখের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাতেও থেমে থাকেনি অভিযান। শুক্রবার রাতভর অভিযান চলে কাশ্মীরের পুলওয়ামার বিভিন্ন জায়গায়। দুই সন্দেহভাজনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
সোপিয়ানের চোটিপোরায় লস্কর জঙ্গি শাহিদ আহমেদ কুট্টের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই কুট্টে অন্তত ৩-৪ বছর ধরে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে সূত্রের খবর। কুলগামে জাহিদ আহমেদের বাড়িও ভেঙে ফেলা হয়েছে এদিন। এছাড়া পুলওয়ামার মুরানে বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আহসান উল হকের বাড়ি। সূত্রের খবর, আহসান ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানে ট্রেনিং নিচ্ছিল। সম্প্রতি সে কাশ্মীরে ফিরে আসে। এছাড়া কাচিপোরায় ধুলিস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে হারিস আহমেদ।