প্রদীপ দে , ঢাকা: বাংলাদেশের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আগামিকাল। শনিবার সকাল ১০টায় এই সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷
কমে যাবে ঢাকা-কলকাতা, আগরতলা-কলকাতার সড়ক পথের দূরত্ব। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যে গতি পাবে। বাড়বে দুই বাংলার মানুষের মেলবন্ধন।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘিরে বাংলাদেশের সর্বত্র উদ্দিপনা রয়েছে৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, রবিবার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বহু প্রত্যাশিত এই সেতু।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জনসভায় যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সেতু দিয়ে ১৩ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এরই মধ্যে পদ্মা সেতুতে গাড়ি পারাপারে টোল নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ঘিরে বাংলাদেশ জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেউ কোনও ধরনের নাশকতা চালাতে না পারে সেজন্য বাড়তি সতর্কাবস্থায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিচারপতি, বিশিষ্ট রাজনীতিক ছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তাঁদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। চলছে কড়া নজরদারি ৷
শনিবার পদ্মার দুই পাড়েই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এর বাইরে সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সেতুর জন্য দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ উপকৃত হবেন৷
পেট্রাপোল এক্সপোর্টার ইমপোর্টার ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে এবার সড়ক পথে ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমবে কলকাতার। মাত্র ৫ ঘণ্টায় ঢাকা খেকে কলকাতা পৌঁছে যাওয়া যাবে রবিবার থেকেই৷ এর ফলে পণ্য পরিবহনে গতি আসবে এবং সীমান্ত বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে৷
পেট্রাপোল স্টাফ এন্ড ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্তিক চক্রবর্তী বলেন ,দুই বাংলার মানুষের মেলবন্ধন যেমন বাড়বে পাশাপাশি দু’দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কারকরা আরও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন ৷ যার বড় ভূমিকা পালন করবে এই পদ্মাসেতু৷
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাওয়া আগরতলার কলকাতাগামী বাসগুলো ৭-৮ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে। সেতু চালু হলে সাতক্ষীরার ভোমরা হয়ে ঢাকা পৌঁছতে পাঁচ থেকে ছ’ ঘণ্টা সময় লাগবে। ফলে দুই বাংলার ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্রুত প্রসার ঘটবে। বাড়বে এপার ওপার বাংলার মানুষের মেলবন্ধন।