পহেলগামে ২৬ প্রাণের বদলায় মাঝরাতে প্রত্যাঘাত ভারতের। নয় পাক জঙ্গি ঘাঁটি দুরমুশ ভারতীয় সেনার স্ট্রাইকে। অপারেশন সিন্দুর-এর প্রভাব শুধু পাক জঙ্গি ঘাঁটিতেই নয়, পড়েছে কুখ্যাত জঙ্গির পরিবারেও। পাক মিডিয়া সূত্রে দাবি, মাসুদ আজ়হারের পরিবারের কমপক্ষে ১৪ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় অপারেশনে। যদিও জইশের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে ভারতের এই অপারেশনে মৃত্যু হয়েছে মাসুদ আজ়হারের পরিবারের দশ সদস্যের। বাহওয়ালপুরে বুধবারই হবে তাদের শেষকৃত্য।

২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। তারপরই একাধিক বৈঠক হয় দিল্লিতে। প্রত্যাঘাত চেয়েছিল দেশবাসী। তিনসেনাকে পহেলগামের ঘটনার বদলা নিতে যেকোনও রকম অভিযানের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়। ঘটনার ১৫ দিনের মাথায় সেই হামলার বদলা নিল ভারত। পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জইশের হেডকোয়ার্টার ও মাদ্রাসা। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ক্ষতবিক্ষত পাক প্রদেশ।
সূত্রের খবর, এই হামলায় অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম আরও ৬০।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার একাধিক কম্যান্ডার, প্রশিক্ষক ও নেতার। গুরুতর আহত মাসুদের ভাই ও ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি রউফ আসগর। ভারতের হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে রউফের ছেলে হুজাইফাও।
একাধিক সংবাদ সংস্থা বলছে, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার নিজে জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ তাঁর পরিবারের ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হামলা চলে বিলাল, কোটলি, গুলপুর, বার্নালা ক্যাম্প, আব্বাস ক্যাম্প, সার্জাল ক্যাম্প- শিয়ালকোট, মেহমুনা ক্যাম্প- শিয়ালকোট, মার্কাজ তইবা মুরিদকে ও ভাওয়ালপুর- জইশ-ই মহম্মদের মূল কার্যালয়ে। বিদেশ সচিব এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট করেন, এই এলাকাগুলিকে জঙ্গি কার্যকলাপের ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। স্যাটেলাইট নজরদারি, গোয়েন্দা সূত্র এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হয়।
দেশের দাবি ৭০ জনের মৃত্যু হলেও পাকিস্তান জানিয়েছে, এই অভিযানে তাদের ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিক মহল দুই দেশকেই সংযম থাকতে বলেছে, যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এদেশকে সমর্থন করছে।