পেঁয়াজের উপর থেকে ২০ শতাংশ অতিরিক্তি রপ্তানি শুল্ক তুলে নিল ভারত সরকার । কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এই সিদ্ধান্তে পেঁয়াজ রপ্তানি ( বেড়ে যাবে। তাতে দেশের বাজারে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বেড়ে যেতে পারে। গরম পড়তে শুরু করেছে। গরমের সময় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক তুলে নেওয়ায় আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যে ভারতের সুবিধা হবে।
পেঁয়াজের উপর থেকে অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ১ এপ্রিল থেকে। পরদিন ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে ভারতীয় পণ্যের উপর আমেরিকার অতিরিক্তি রপ্তানি শুল্ক। ভারত আমেরিকাকে যে সব পণ্য সরবরাহ করে পেঁয়াজ তার অন্যতম। আমেরিকা যাতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করে সে জন্য মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে নয়া দিল্লি। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়াল আমেরিকায় গিয়ে কথা বলে এসেছেন।
মার্কিন শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে ভারতের পেঁয়াজে অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে সবচেয়ে লাভবান হবে বাংলাদেশ । পড়শি দেশ পেঁয়াজের জন্য ভারতের উপর নির্ভর করে। হালে তারা পাকিস্তান থেকেও পেঁয়াজ আনিয়েছে। যদিও তাতে দাম অনেক বেশি গুণতে হচ্ছে। ভারত সরকার গত বছর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশকে তা থেকে ছাড় দিয়েছিল। এবার রপ্তানি শুল্কও তুলে নেওয়ায় বাংলাদেশের আরও সুবিধা হয়ে গেল।
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে কড়াকড়ি এবং অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল ২০২৩-এর ডিসেম্বরে। গত বছর লোকসভা ভোটের কথা বিবেচনায় রেখে দেশের বাজারে পেঁয়াজের জোগান স্বাভাবিক রাখতে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হয়েছিল। ওই সিদ্ধানে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় মহারাষ্ট্রে ।
দেশে ওই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক এবং চড়া হারে ন্যুনতম দাম বেঁধে দেওয়ায় সেখানকার চাষিরা রপ্তানির সুযোগ হারান। গত বছর নভেম্বরে মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটের দু’মাস আগে রপ্তানি শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। আগামী ১ এপ্রিল থেকে অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক আর বলবৎ থাকবে না।