One Nation One Election Bill  ভোটাভুটির মাধ্যমে সংসদে পেশ ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল , রাজ্যের ক্ষমতা ও  সংবিধান  অক্ষুণ্ন থাকবে, আশ্বাস আইনমন্ত্রীর

0
64

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লোকসভায় ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। সঙ্গে সঙ্গে এর বিরোধিতায় সরব হন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। হট্টগোল শুরু হয় সংসদের নিম্ন কক্ষে। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিল পেশের ক্ষেত্রে ভোটাভুটি চান। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাতে সায় দিতেই ‘এক দেশ এক ভোট’-বিল পেশের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটাভুটি শুরু হয়।

এই প্রথমবার সংসদের নয়া ভবনে ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতিতে ভোটাভুটি হয়। তবে প্রথমবার প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে অনেকেই ঠিকমতো বটন প্রেস করতে পারেননি। ফলে দু’দফায় ভোটাভুটি হয়। দ্বিতীয় দফা শেষে দেখা যায়, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল পেশের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৬৯টি এবং বিপক্ষে পড়েছে ১৯৮টি।

‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত (১২৯তম সংশোধনী) বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী) বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চেয়েছেন এই দুই বিল সংসদের যৌথ কমিটিতে পাঠানো হোক।

কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি-সহ বিরোধী জোটের অন্য দলগুলি এই বিলের বিপক্ষে সুর চড়ায়। বিরোধী সাংসদদের বক্তব্য, এই বিল সংবিধানের মূল কাঠামোতেই আঘাত হানবে। এর মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিরোধী দলগুলির।

বিরোধীদের এই দাবি অবশ্য পাত্তা দেননি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তিনি মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে লোকসভায় এই বিল পেশ করে তাঁর উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, দেশের নির্বাচনী পদ্ধতি সংস্কারের জন্য এই পরিবর্তন আবশ্যিক। আর এই বিল যে দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো বা সংবিধানকে আঘাত করছে না, তাও স্পষ্ট করেছেন তিনি। 

সংসদে ‘এক দেশ এক ভোট’ বিল পেশ করে মেঘওয়াল বলেন, ”নির্বাচনী পদ্ধতি সংস্কার করতে আইন আনা যেতেই পারে। দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে দেবে এই বিল। আর এর দ্বারা ভারতীয় সংবিধান কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। সংবিধানের মূল ভিতও একই থাকবে, তাতে কোনও আঘাত আসবে না।”

একইসঙ্গে তিনি এও আশ্বাস দেন, রাজ্যের ক্ষমতা লঘু করার কোনও অভিপ্রায় নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। 

বিল পেশের পর কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, এই বিল একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে দেশে। তাই এই বিল দ্রুত সম্ভব বাতিল করা উচিত। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, সংবিধানের ভিতকেই নড়িয়ে দিচ্ছে এই বিল। কোনও ভাবেই এটি লাগু হওয়া উচিত নয়। তাঁর স্পষ্ট কথা, ব্যক্তিভিত্তিক স্বার্থরক্ষার জন্যই এই বিল আনা হয়েছে।

এই বিলের উপর এখন আলোচনা হলেও সরকার লোকসভায় সেটি পেশ করে তা সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠাতে চলেছে ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে। 

লোকসভা এবং সব বিধানসভার ভোট একত্রে করতে সংবিধানের ৮৩ এবং ১৭২ নম্বর অনুচ্ছেদের সংশোধন করা হবে। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ৪৭টি দলের মধ্যে ৩২টি এক দেশ এক ভোটের পক্ষে সায় দিয়েছে।

লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এখন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তবে সংসদের দুই কক্ষে পাশ করালেই হবে না, দেশের দুই-তৃতীয়াংশ রাজ্যের বিধানসভারও সম্মতি প্রয়োজন নয়া ব্যবস্থার পক্ষে। মোদী সরকার ২০২৯ সালে নির্বাচনের এই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর করার কথা বিবেচনা করছে।

Previous articleWeather Update পৌষের উইকেন্ড-এর আনন্দ মাটি করে দেবে আবহাওয়া, বলছে পূর্বাভাস !ডিসেম্বরেই তরতরিয়ে বাড়বে তাপমাত্রা ,শীতের মাঝেই বৃষ্টিতে ভিজবে কোন জেলা ?
Next articleMarriage শীতের দাপটে বিবাহ আসরেই অজ্ঞান বর, তড়িঘড়ি বিয়ে ভাঙলেন কনে!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here