দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাকে সত্যি করেই ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন৷থাবা বসাচ্ছে একের পর এক রাজ্যে। করোনার থেকে ২-৩ থেকে গুণ বেশি দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজধানী দিল্লির ভয়াবহ ছবিটা এখনও টাটকা। সেকথা স্মরণে রেখেই বোধহয় ওমিক্রন সতর্কতায় বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রুখতে বড়দিন ও ইংরাজি নতুন বছর উদযাপনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হল দিল্লিতে।
দিল্লি সরকারের তরফে পুলিশ, জেলা প্রশাসন, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে।
এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে ৫৭ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। দেশে কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে মোটা আক্রান্তের সংখ্যা বুধবার বিকেল পর্যন্ত ২১৩।
আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে একাধিক রাজ্যের মোট ২১৩ জন মানুষের শরীরে থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের পরিসংখ্যানে মুম্বইকে ছাপিয়ে গেল দিল্লি। শুধু রাজধানীতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭-এ পৌঁছেছে। দেশের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে রাজধানী। পরিস্থিতি আরও হাতের বাইরে যাওয়ার আগে কড়া পদক্ষেপ সরকারের। সমস্ত রকম জমায়েত নিষিদ্ধ দিল্লিতে। মহারাষ্ট্রে এই সংখ্যা বর্তমানে ৫৪। তবে মোট আক্রান্তের মধ্যে ৯০ জনের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই নেগেটিভ এসেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই ওমিক্রন মুক্ত। সকলেই ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন হাসপাতাল থেকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ফের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল। একদিনে ১৮ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩১৭ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩১৮ জনের এবং সুস্থ হয়েছে উঠেছেন ৬৯০৬ জন। অন্যদিকে, দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যায় রেকর্ড পতন। এই মুহূর্তে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ১৯০। যা গত ৫৭৫ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
মঙ্গলবার, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিটি রাজ্যে ওয়ার রুম খোলার বিষয়ে। বলা হয়েছে যত কমই হোক ওমিক্রন সংক্রমণের দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে। এ জন্য জেলা এবং ব্লক স্তরে অতি সক্রিয়তার প্রয়োজন রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার মতো মারাত্মক না হলেও সংক্রমণ খুব বেশি ছড়ায়। যে কারণে গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সমস্ত রাজ্য সরকারকে অ্যাডভাইজারি পাঠিয়ে বলা হয়েছে পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি রাখতে। এর মধ্যেই দিল্লি এদিন ক্রিসমাস ও নতুন বছর উদযাপনে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল।