

গাজিয়াবাদের এক গৃহবধূর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। স্বামী নাকি তাঁকে ‘নোরা ফাতেহি’ হতে চাপ দিতেন! আর তার জন্য তাঁকে জোর করে ব্যায়াম করানো হত এবং খেতে পর্যন্ত দেওয়া হত না। মহিলার স্বামী স্থানীয় সরকারি স্কুলের একজন শিক্ষক।

মুরাদনগর থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে মহিলা জানিয়েছেন, গত ৬ মার্চ ২০২৫ সালে মীরটের বাসিন্দা শিবম উজ্জ্বল নামে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শারীরিক গড়ন নিয়ে কটুক্তি শুরু হয়। অভিযোগ, তাঁকে বারবার বলা হত – নোরা ফাতেহির মতো আকর্ষণীয় নন তিনি। তাঁকে অভিনেত্রীর মতো হতে হবে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অন্য মেয়েদের প্রতি স্বামীর অস্বাভাবিক আকর্ষণ রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও দেখতেন তিনি। এমনকী, গর্ভবতী হওয়ার পর গোপনে গর্ভপাতের ওষুধও খাওয়ানো হয়েছিল তাঁকে।

শুধু স্বামী নন, শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকেও নানাভাবে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, বিয়ের সময় ১৬ লক্ষ টাকার সোনা, ২৪ লক্ষ টাকার মাহিন্দ্রা স্করপিও এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা। তবুও পণের দাবি মেটেনি বলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে।
ঘটনার পর গাজিয়াবাদ পুলিশ মহিলার স্বামী, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।