দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে নেপালে মিলল দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ।
সোমবার সকালে নেপাল সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা ফের উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছেন। বিমানে ২২ জন যাত্রী ছিলেন। যাঁদের মধ্যে ৪ জন ভারতীয় এবং ১৩ জন নেপালের নাগরিক। তাঁরা আদৌ বেঁচে আছেন কি না, খোঁজ চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপালের মুস্তাঙ্গ এলাকায় ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে।
রবিবার অনুমান করে মুস্তাঙ্গ এলাকাতেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছিলেন সেনারা। কিন্তু সন্ধের পর অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় এবং তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজ মাঝপথে থামিয়ে দিতে হয়। সোমবার সকাল থেকেই কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। মুস্তাঙ্গের থাসাং টু-এর সানসোয়ারে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ পোখরা থেকে জমসমের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল বিমানটি৷ মাত্র কুড়ি মিনিটের যাত্রাপথে আকাশে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই এটিসি-র সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ মূলত পর্যটনস্থল হিসেবেই বিখ্যাত জমসম৷ পোখরা থেকে জমসমের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার৷ কিন্তু সেই যাত্রাপথও শেষ করতে পারল না অভিশপ্ত বিমানটি৷
বিহারের ধনুশার মিথিলার বাসিন্দা রাজনকুমার গোলে ও তাঁর পরিবার মুক্তিনাথ দর্শনে গিয়েছিলেন৷কিন্তু তাঁদের কারও কোনও খোঁজ নেই আর। স্থানীয়দের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানেই ছিলেন পরিবারের সাত সদস্য।
পোখারা থেকে তারা বিমানে উঠেছিলেন রাজনকুমার গোলে, তাঁর বাবা বাহাদুর গোলে, মা রামায়া গোলে, কাকা পুরুষোত্তম গোলে, কাকিমা তুলসিদেবী, মামা মকর বাহাদুর এবং সুকুমায়া তমাল। পরিবার জানিয়েছে, তাঁদের কারও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার সকালে তল্লাশি অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খোঁজ পাওয়া গিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বেসরকারি সংস্থাপরিচালিত টুইন-ইঞ্জিন বিমানটির। যার ২২ জন যাত্রীর মধ্যে ৪ জন ভারতীয় ছিল বলে জানা গিয়েছিল বিমান সংস্থা সূত্রে। এ ছাড়া, ছিলেন দু’জন জার্মানি, ১৩ জন নেপালি এবং তিন জন বিমান কর্মী। কিন্তু বিহারের ওই পরিবারের দাবি, তাঁদের সাত জন সদস্য ছিলেন ওই বিমানে।