দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হারিয়ে যাওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর খোঁজ মিলল নেপালের সেই বিমানের।
তবে খবর ইতিবাচক নয়। সওয়ার ২২ জন যাত্রীকে নিয়েই নদীর ধারে মুখ থুবড়ে পড়েছে বেসরকারি সংস্থা তারা এয়ারলাইনস–এর সেই বিমান। এক জন যাত্রীও আর বেঁচে নেই। ভারতের চার জনও মারা গিয়েছেন। পোখরা থেকে জমসম যাচ্ছিল বিমানটি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মানপথি হিমলে লামচে নদীর উৎসমুখে ভেঙে পড়েছে সেই বিমান। নেপাল সেনার মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়াল জানিয়েছেন, উদ্ধারের জন্য বাহিনী পাহাড়ে চড়ছে।
আকাশপথেও ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে। বিমানে সওয়ার ছিলেন চার ভারতীয় ছাড়াও দু’ জন জার্মান এবং ১৩ জন নেপালি। চার ভারতীয় মুম্বইয়ের বাসিন্দা। তাদের নাম অশোক কুমার ত্রিপাঠী, ধনুষ ত্রিপাঠী, বৈভবী ত্রিপাঠী, রীতিকা ত্রিপাঠী। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষে।
प्रेस बिज्ञप्ति pic.twitter.com/Ftkte27tOK
— Civil Aviation Authority of Nepal (@hello_CAANepal) May 29, 2022
তারা এয়ার ৯ এনএইটি বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট নাগাদ উড়েছিল পোখরা থেকে। নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুর ২০০ কিলোমিটার উত্তর–পশ্চিমে রয়েছে এই শহর। সেখান থেকে জমসম যাওয়ার কথা বিমানটির। গন্তব্যে ১০টা ২০ মিনিটে পৌঁছনোর কথা। ১৫ মিনিট পরেই বেমালুম গায়েব বিমানটি।
মাস্তাং জেলার জমসমের আকাশে শেষবার বিমানটিকে দেখা গিয়েছিল। তার পর সেটি মাউন্ট ধওলাগিরির দিকে বাঁক নেয়। পুলিশের ধারণা, পাহাড়ি মাস্তাং জেলার লেতের টিটিতে ভেঙে পড়েছে বিমানটি। এই মাস্তাং নেপালের পঞ্চম বৃহত্তম জেলা।
এখানেই রয়েছে মুক্তিনাথ মন্দির। মাস্তাং জেলার ডিএসপি রাম কুমার দানি জানালেন, টিটি এলাকার বাসিন্দারা বিকট কিছু শব্দ শুনেছেন। সেই থেকেই ধারণা, বিমানটি ওখানে ভেঙে পড়েছে। মাস্তাং এবং পোখরা থেকে দু’টি বেসরকারি সংস্থার হেলিকপ্টার নামিয়েছে সরকার। সেনার চপারও নামানোর প্রস্তুতি চলছে। জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ফড়িন্দ্র মণি পোখারেল।
তারা এয়ারলাইনস–এর ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে, নেপালের দুর্গম এলাকায় যায় তাদের বিমান। যা আর কোনও সংস্থার বিমান যেতে পারে না। এমনিতে হিমালয়ের কোলে থাকা দেশ নেপালে বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক বেশি।
দুর্গম পাহাড় এবং চরম আবহাওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমান। ২০১৬ সালে এই তারা এয়ারলাইনস–এরই একটি বিমান ভেঙে পড়ে মিয়াগড়ি জেলায়। মারা যান তিন বিমান কর্মী সহ ২৩ জন। ওই বিমানে ছিলেন এক জন চীন এবং এক জন কুয়েতের নাগরিক।