দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮ ও ৯ জুলাই রাশিয়ায় সরকারি সফরে যাচ্ছেন। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মস্কো যাচ্ছেন।
উভয় নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সমসাময়িক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবেন। এরপর ৯ ও ১০ জুলাই অস্ট্রিয়া সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।গত ৪১ বছরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম অস্ট্রিয়া সফর। অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার ফন ডার বেলেনের সঙ্গে দেখা করবেন মোদী।
https://x.com/ANI/status/1808812627067654416?t=8rR3bNWIH5MSzKMD2nqetA&s=19
এই সফরকেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটা তাঁর দ্বিতীয় বিদেশ সফর।
প্রসঙ্গত, ৪১ বছর পর ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী প্রথম অস্ট্রিয়া সফরে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাশিয়া সফরের দিকেও নজর রয়েছে সকলের। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম রাশিয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
গত মার্চ মাসে রাশিয়ার তরফে নরেন্দ্র মোদীকে সেদেশে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী শেষবার রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন ২০১৯ সালে। তবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঁচদিনের সফরে মস্কো গিয়েছিলেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে প্রবেশ করে রুশ সেনা। তারপর থেকে লাগাতার প্রায় দু বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা যুদ্ধের সরাসরি নিন্দা কোনও দিনই করেনি ভারত। তবে এই নিয়ে নয়াদিল্লি বার বার বলেছে, দু দেশের উচিত কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টিকে মিটিয়ে নেওয়া। অন্যদিকে, ২০২২ সাল থেকে রাশিয়ার আরও বড় বানিজ্যিক সহযোগী হয়েছে ভারত। বিশেষত অপরিশোধিত তেল কেনার ক্ষেত্রে।
১৯৮৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শেষ বারের জন্য অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছিলেন। নেটোর সদস্য দেশ নয় অস্ট্রিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের মাঝেও ভারতের মতো রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বহাল রেখেছে ভিয়েনা।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও ভারত ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে কথা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দুদেশ একসঙ্গে শান্তি ফেরানোর পথ খুঁজতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে স্টার্ট আপ, উৎপাদন ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোই প্রধানমন্ত্রীর সফরের লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে।