দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার বলেছেন যে দেশের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ফলে জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কিছু রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের বাঁচাতে জোট বাঁধার চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল দু’দিনের সফরে কেরালায় গিয়েছেন। কোচিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দুর্নীতিই হল উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধা।
গত ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে কেরলে তিনি বলেন, ‘আমি ১৫ অগস্ট লাল কেল্লা থেকে বলেছিলাম যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে লড়াই করার সময় এসেছে। তার ফলে দেখতে পাচ্ছি যে আমরা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে একটি নতুন মেরুকরণের আবির্ভাব ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, ইডি, সিবিআই লাগাতার বিরোধী নেতা-নেত্রীর বাড়ি, অফিসে হানা দিচ্ছে। এর প্রতিবাদে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলেঙ্গানা কে চন্দ্রশেখর রাও, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুতে এমকে স্তালিন, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সরেন, বিহারে তেজস্বী যাদবেরা সরব।
তবে কোচির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কোনও দলের বা বিরোধী নেতানেত্রীর নাম মুখে আনেননি। তিনি অভিযোগ করেছেন, কিছু দল একত্রিত হতে শুরু করেছে। তিনি দেশবাসীকে এই ধরনের জোট সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিরোধীদের প্রচেষ্টা সফল হবে না দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মানুষ বিজেপিকে নতুন আশার হিসাবে দেখছে। কারণ তারা বুঝতে পারে যে এই দল ভারতে পরিবর্তন এবং উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। তাঁর দাবি গোটা দেশে এবং বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চলছে৷ এটা সম্ভব হয়েছে কেন্দ্র এবং রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিন অর্থাৎ একই দলের সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে৷
চলতি অর্থ বছরের এপ্রিল-জুন সময়কালে দেশে গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ১৩.৫ শতাংশ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি দ্রুত উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ইতিবাচক হতে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সরকারের অগ্রাধিকার দেশের প্রতিটি নাগরিককে মৌলিক সুবিধা প্রদান এবং আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি করা। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার দরিদ্রদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের অধীনে, কেরালায় দুই লক্ষ বাড়ি অনুমোদিত হয়েছে এবং এক লাখ তিরিশ হাজারের নির্মাণ শেষ হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সিপিএম শাসিত কেরলে কেন্দ্র বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।