দেশের সময়, নদিয়া :জমি দখলকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া অশান্তি সামাল দিতে গিয়ে ‘নিগৃহীত’ পুলিশ। পুলিশকে গাছে বেঁধে বিক্ষোভ ও মারধরের অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ভীমপুর থানার অন্তর্গত পূর্ব ভাতজাংলায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় সভার দিনেই এই ঘটনা তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনিকমহলে।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার ভীমপুর এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সেই সময় এক পক্ষ অপর পক্ষকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরই মাঝে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক পক্ষের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছিল। আর সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গ্রামের মহিলারা পুলিশকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বিক্ষোভ শুরু করেন। এমনকী পুলিশকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
থানার ওসি জানান, জমির আল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা। কার ভাগে বেশি জমি, কার ভাগে কম তার মাপজোক নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমরা খবর পেয়ে ওখানে গিয়েছিলাম। পুলিশ যখন যায় তখন পুলিশের সামনেই আল কেটে জমি দখলের চেষ্টা করা হয়। তা নিয়েই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এই ঘটনায় কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কে অমরনাথ বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত দুই পক্ষের ঝামেলার মধ্যে দু’জন পুলিশকে যারা গন্ডগোল করছিল তাদের মধ্যে এক পক্ষ বেঁধে রেখেছিল। ঘটনার খবর পেয়ে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশ কর্মীকে বেঁধে রাখার ঘটনায় জড়িত মোট ১০ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে।’ নদিয়ায় উঠল পুলিশকে হেনস্থা ও মারধররে অভিযোগ। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, এদিনই নদিয়ায় সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘটনাচক্রে তিনিই আবার রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী যেদিন নদিয়ায় উপস্থিতি, সেই দিনই জেলার পুলিশ কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়ে। এই ঘটনার আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্ল্যেখ্য এদিনই নদিয়ায় সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঘটনাচক্রে তিনিই আবার রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী যেদিন নদিয়ায় উপস্থিতি, সেই দিনই জেলার পুলিশ কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়ে। এই ঘটনার আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।