রিয়া দাস, বনগাঁ: প্রতিনিয়ত বদলে যাওয়া সময়ের গতির সাথে পাল্লা দিতে দিতে আমরা প্রত্যেকেই হাঁপিয়ে উঠি দিনের শেষে। মন খোঁজে একান্ত বিশ্রাম বা রিফ্রেশমেন্ট।কিন্ত সেখানেও বাধা।মাথায় বইতে থাকে নানান চিন্তার ঝোড়ো হাওয়া।যার ফলে আপনার ক্লান্তির ঘুম দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল,আপনি আশ্রয় নিলেন স্মার্ট ফোনের রঙিন দুনিয়ায়।
সেখানে সব কিছু পেলেও,পাবেন না খুঁজে আপনার মনের পুষ্টিকর খাদ্য, আপনার শান্তির ঘুম।এভাবেই সময়চক্র ঘুরে চলে,আর আপনি ওষুধের শরণাপন্ন হন, যার অবিশম্ভাবি সাইড এফেক্ট আপনাকে ঠেলে দেয় অকাল মৃত্যুর দিকে বা কঠিন মনের অসুখের দিকে। আর এখানেই দিশা দেখাচ্ছে মিউজিক থেরাপি।
নাম টা খুব পরিচিত শোনাচ্ছে তাই তো!গানের কথা উঠলেই প্রায় সকলে সমস্বরে বলবেন,গান তো শুনি।পথে,ঘাটে সবার কানেই হেডফোন।কিন্ত না।গান শোনা আর মিউজিক থেরাপি এক নয়। তাহলে কী?কোথায় হয় এসব? কী হবে এটা নিয়ে। গুগলস্ করলে কী সব জানতে পারব? দেখুন ভিডিও
আপনার প্রশ্নের উত্তর সহজ ভাষায় জানাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ শহরের সুপ্রীতি নাথ (সুতার)। যিনি দীর্ঘ ৮বছর ধরে মিউজিক থেরাপি নিয়ে কাজ করছেন বিশেষ শিশু ও তাদের মায়েদের উপর।
যার ফলে বহু শিশু কোনো স্পীচ থেরাপি ছাড়া কথা বলতে শুরু করেছে,মনোযোগী (ADD,ADHD,ASD) হয়েছে নিজের কাজে।মানসিক দ্বন্দে ভোগা, নিত্যদিনের অনিদ্রায় ভোগা মায়েরা পেয়েছেন একটু মনের শান্তি। মনের জোড়।
পেশাগত জীবনে রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার একজন প্রফেশনাল হওয়ার সুবাদে তিনি প্রয়োজন বোধ করেছিলেন এই মিউজিক থেরাপি কে কাজে লাগানোর। অনুভব করেছিলেন বিষয়টিকে আরো ভাল ভাবে শিখে এর প্রয়োগবিধিকে বিস্তৃত করার। শাস্ত্রীয় সংগীতের শিল্পী হওয়ার কারণে একাজ তাঁর কাছে আরো সহজ হয়ে ওঠে,সংগীতগুরু পন্ডিত জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের তত্বাবধানে।
তিনি জেনে নেন কোন রাগের কী ধরনের চলন বা বিস্তার প্রভাব ফেলে মানুষের মনে।আর এরপরই ধীরে ধীরে সুপ্রীতি তা প্রয়োগ করেন নিজের কাজে।আর পান অবিশ্বাস্য ফলাফল।নিজে গেয়ে ও দৃশ্যায়নের সাহায্যে উপস্হাপন করেন বিভিন্ন ছোট খেয়াল।বর্তমানে আরো প্রযুক্তি কে কাজে লাগিয়ে তিনি মিউজিক থেরাপি দিয়ে চলেছেন,করে চলেছেন শিশুদের মনের ফেসিয়াল ৷