দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: কাল বাদে পরশু কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। শেষমেশ সোমবার দুপুরে দলের রাজ্য দফতর থেকে ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির। তবে বিধানসভা ভোটে যেমন সেলিব্রিটিদের ছড়াছড়ি দেখা গিয়েছিল কলকাতার ভোটে সে পথে হাঁটল না মুরলীধর সেন লেন।
কলকাতা পুরভোটে ১৪৪ ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় তরুণ মুখ ও মহিলা প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অন্তত ৪৫ জন তরুণ মুখ রয়েছে প্রার্থী তালিকায়। একই সঙ্গে ৫০ জন মহিলা প্রার্থী রাখা হয়েছে তালিকায়। একাধিক আইনজীবী ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল রয়েছেন বিজেপির প্রার্থী তালিকায়।
একাধিক চিকিৎসক ও শিক্ষক–অধ্যাপকও আছেন তালিকায়। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিত। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে সজল ঘোষ। ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে সুনীতা ঝাওয়ারকেও টিকিট দেওয়া হয়েছে। ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্দিরা গাঙ্গুলিকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি তথা কলকাতা পুরভোটের নির্বাচনী ইনচার্জ প্রতাপ ব্যানার্জি বলেন, ‘রবিবার আমাদের নির্বাচনী কমিটির বৈঠক হয়েছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে এই তালিকা।
রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অনুমোদনের পরই তালিকা ঘোষণা করা হল।’ কলকাতা পুরভোটে সবার আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল বামফ্রন্ট। তারপর শাসকদল তৃণমূল। সবার শেষে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে রিঙ্কু নস্করকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসেন তিনি।
১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট। আগামী বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগে শনিবার দুপুর পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা নিয়ে কোনও আলোচনাতেই বসেননি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। গত বৃহস্পতিবার ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গত শুক্রবার দুপুরেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বামেরা। রাতে শাসক দল তৃণমূল।
কিন্তু রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি শিবিরে খুব একটা তাপ উত্তাপ দেখা যায়নি। সোমবার প্রার্থী তালিকায় তেমন কোনও বড় চমক নেই। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘কলকাতা পুরভোটের জন্য আমাদের প্রার্থী তালিকার ৭৫ শতাংশ নাম গত দু’মাস আগে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আদালতের দরজা এবং বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আচরণ সমস্ত কিছুকে সঙ্গে নিয়েই আজ আমাদের দলের ১৪৪ জনের তালিকা ঘোষণা করলাম। কিন্তু যে ভাবে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার শুধুমাত্র কলকাতা, হাওড়াতে ভোট করাচ্ছে তা সমর্থন যোগ্য ছিল না। আমরা আদালতে গেছিলাম। তাঁর মানে এই নয় আমরা নির্বাচন এড়িয়ে যেতে চেয়েছি।’
কোনও সেলেব মুখকে এবার দাঁড় করাল না বিজেপি। নিচুতলার সংগঠনের নেতাকর্মীদেরই টিকিট দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদাররা। অনেকের মতে, এটাই যদি বিধানসভায় করত তাহলে এই দুরবস্থা হতো না।