দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত বছর বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল উত্তরবঙ্গে।
সেই তুলনায় বেশি বৃষ্টি হয়েছিল দক্ষিণে। এবার বৃষ্টি সেই খামতি পুষিয়ে দিল উত্তরবঙ্গে। সময়ের আগেই এসে গেল। তার পর রীতিমতো ভাসিয়ে দিল গোটা উত্তরবঙ্গ। ক্রমাগত বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর বঙ্গের জনজীবন। ফুঁসছে বহু নদী। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তা।
বহু এলাকা জলের নীচে। নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। তবে তাতে রেহাই নেই। আগামী চার–পাঁচ দিন এ রকমই বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে। জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর আইএমডি। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে। জয়গাঁ এলাকায় তোর্সা নদীতে ভেসে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নাম হাফিজুর আলি (৪৭)। ওদিকে হাসিমারায় নদীতে তলিয়ে গিয়েছে চারটি বাড়ি।
সেচ দপ্তরের তরফে দোমোহানি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করা হয়। জলঢাকার জলস্তর বেড়েছে। তার আশপাশেও হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে। জল বাড়ছে রায়ডাক, ডায়না, সংকোশ নদীতে। মঙ্গলবার রাতে সিকিমের রংপো এলাকায় ধস নামে। পর্যটকদেরও সাবধান করা হয়েছে। অনেক পর্যটন সংস্থাই পর্যটকদের নামিয়ে আনছে
কিন্তু দক্ষিণের প্রতি এখনও বিরূপ বর্ষা ()। আষাঢ়স্য প্রথম দিবসের বিকেল অবধি কলকাতায় বৃষ্টির দেখা মেলেনি। আলিপুরের হাওয়া অফিস জানিয়েছে দূর্বল মৌসুমী বায়ু ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গে , তাতে বৃষ্টির পরিমাণ খুব বেশি হবে না ৷
আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে দক্ষিণে যে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে তা অনেকটাই দুর্বল। এমনিতে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বর্ষা ঢোকার কথা ১১ জুনের মধ্যে। সেই হিসেবে এবার বর্ষা অনেকটাই দেরি করছে।
উত্তরবঙ্গে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা সক্রিয় রয়েছে। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুও ঢুকছে হু হু করে। উত্তরবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারতে তাই বৃষ্টির দাপট এত বেশি। আর এই কারণেই দক্ষিণেও বর্ষা ঢুকতে দেরি হচ্ছে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে গাঙ্গেয় বঙ্গেও বর্ষার অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হবে। কলকাতা ও শহরতলিতে আগামী কয়েকদিন বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।