দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেওয়াল লিখন এক প্রকার স্পষ্টই ছিল। হলও তাই। বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে বারবার রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ তা প্রতিবারই এড়িয়ে গিয়েছেন মলয়। শেষমেশ বুধবার সকালে মলয় ঘটকের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
আসানসোলে মলয় ঘটকের একাধিক বাড়ি রয়েছে। প্রথমে এদিন সকালে আসানসোলে শহরে মলয় ঘটকের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই টিম। সেই সঙ্গে গোটা এলাকা ঘিরে নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পর আসানসোলের কাছে মলয় ঘটকের পৈতৃকের বাড়িতেও পৌঁছে যান সিবিআইয়ের অফিসাররা।
মন্ত্রী মলয় ঘটক অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না। সোম থেকে শুক্রবার মলয় ঘটক কলকাতায় থাকেন। বুধবারও তিনি কলকাতায় রয়েছেন বলেই খবর। জানা গিয়েছে, তাঁর কলকাতার বাসভবনেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির একটি টিম পৌঁছেছে।
তবে শুধু মন্ত্রীর বাড়িতেই নয়, পাশাপাশি তাঁর সিএ বা চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ডেন্ট প্রতীক দিওয়ানের বাড়ি আলিপুরেও পৌঁছে গিয়েছেন তারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, আলিপুরে ৮/১ অবস্থিত শ্যাম ভাটিকা নামের একটি আবাসনে দিওয়ান পরিবার বসবাস করে। পার্কস্ট্রিট এলাকায় রয়েছে তাঁদের কাপড়ের ব্যবসা। তবে দিওয়ান পরিবারের এক ভাই প্রতীক দিওয়ান পেশায় চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ড। বাকি ভাইরা কাপড়ের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এমনটাই জানা গিয়েছে দিওয়ান পরিবারের গাড়ির চালকের তরফে। পাশাপাশি আরও জানা যাচ্ছে, এই আবসনে একমাত্র প্রতীক থাকেন। পরিবারের বাকি সদস্যরা থাকেন অন্যত্র।
বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ সিবিআই এর পাঁচজন প্রতিনিধি দল আসেন এই বাড়িতে। যেহেতু আজ একযোগে আসানসোল, কলকাতায় মলয় ঘটকের বাড়িতে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা এবং ওই একই সময় এই শ্যাম ভাটিকাতেও গোয়ন্দাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে সেই কারণে মনে করা হচ্ছে মন্ত্রীর সঙ্গে প্রতীকবাবুর যোগাযোগ থাকলেও থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে বেশ কয়েক বার নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও মলয় তদন্তকারীদের মুখোমুখি হননি। ১৪ সেপ্টেম্বর তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে। এই নিয়ে আগেই মলয় ঘটকের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।