Mohun Bagan and East Bengal Supporters Protest রণক্ষেত্র যুবভারতী! মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ,তিন প্রধানের সমর্থকদের ‘বিচার চাই’ দাবি, জমায়েতে বাধা

0
162

Mohun Bagan and East Bengal Supporters Protest রণক্ষেত্র যুবভারতী! মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ,তিন প্রধানের সমর্থকদের ‘বিচার চাই’ দাবি, জমায়েতে বাধা

দেশের সময়, কলকাতা : ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের যুগ্ম মিছিলে সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। রীতিমতো রণক্ষেত্র পরিস্থিতি হয় যুবভারতী প্রাঙ্গণে। বহু সমর্থককে জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। মিছিলকারীরা চিৎকার করে অভিযোগ করতে থাকেন, কোনও প্ররোচনা ছাড়া, কোনও অশান্তি ছাড় পুলিশ রীতিমতো আক্রমণ করেছে তাঁদের উপর। কোনও রাজনৈতিক স্লোগানও ওঠেনি বলে দাবি তাঁদের। তার পরেও তাঁদের লাঠি মেরে তাড়ানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

যতই সময় এগোতে থাকে তত যুবভারতী এলাকায় জমায়েত বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে পুলিশ। দুই দলের সমর্থকরা বলেন যদি এত পুলিশ এখানে ছিল তবে কেন ডার্বি বাতিল করা হল। এরপর পুলিশ সমস্ত সমর্থকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। তাদেরকে দ্রুত সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এদিন যুবভারতী  চত্বরে ১৬৩ ধারা জারি ছিল ।

বিধান নগর পুলিশ কমিশনারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এই নির্দেশিকা। আরজি কর প্রতিবাদে বাতিল হয়েছে ডার্বি । দুদলের সমর্থকদের যুবভারতের সামনে জমায়েত কর্মসূচি ছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে হুমকি ফোনের অভিযোগ, অশান্তি আটকাতে ১৬৩ ধারা জারি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের। রবিবার ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সমর্থকদের প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি ছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে।

ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মিছিলের আগে ফতোয়া বিধাননগর পুলিশের । যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে জমায়েতে বাধা। স্টেডিয়ামের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত নয়। সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে। বিশাল পুলিশ বাহিনী  মোতায়েন করা হয় প্রতিবাদস্থলে।

যুবভারতীর সামনে রবিবার জমায়েত করা যাবে না। সাফ জানিয়ে দিল বিধাননগর কমিশনারেট। বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কোনও জমায়েত বা মিছিল চলবে না সেখানে। এদিকে বৃষ্টির মধ্যেই ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা মিছিল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এককাট্টা হয়েছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে শেষ মুহূর্তে এই পরিকল্পনায় জল ঢালল পুলিশ।

বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা জানিয়েছেন, ম্যাচ বাতিলের পরে তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন। স্লোগান তুলেছিলেন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। জানা গেছে, এর পরে পুলিশ তাঁদের চলে যেতে বলে। সমর্থকরা জানান, তাঁরা কোনও অশান্তি করছেন না। রাস্তা ছাড়বেন না। এর পরেই ছত্রভঙ্গ করতে তাঁদের উপর লাঠি চালানো হয় বলে অভিযোগ। মারধরের মুখে আহত হন মহিলা সমর্থকরাও। প্রিজন ভ্যানে দুই দলের সমর্থকদেরই তোলা হয়। 

জানা গেছে, যুবভারতী চত্বরে জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকা। গতকালই বাতিল হয়েছে ডার্বি। সূত্রের খবর, আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গ্যালারি মুখর হওয়ার কথা ছিল, সে কারণেই আগেভাগে বাতিল করা হয় খেলা। তবে এর পরেই দু’দলের তরফে জানানো হয়, তাদের সমর্থকরা যুবভারতীর সামনে জমায়েত কর্মসূচি করবে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে।

এর পরেই আজ সারাদিন খবর মেলে, সমর্থক ও মিছিল আয়োজকদের অনেককে পুলিশ নাকি হুমকি ফোন করে মিছিলে যেতে বারণ করেছে। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেনি ‘দেশের সময়’। তবে অশান্তি আটকানোর কথা বলে শেষমেশ ১৬৩ ধারা জারি করে দিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।

আজ, রবিবার ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। এই মরশুমে প্রথমবার ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের দল খেলতে নামত। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সেই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব সারা রাজ্যেই পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বড় ম্যাচ হলে মাঠে নানা বিক্ষোভ হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

ডার্বি নিয়ে হয়তো এই প্রথমবার লাল-হলুদ এবং সবুজ মেরুন সমর্থকরা জেতা-হারার থেকেও বেশি ভেবেছিলেন প্রতিবাদের কথা। তাঁদের মাঠে যাওয়ার আরও বেশি তাগিদ ছিল আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদ করার জন্য। এ জন্য বেশ প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা আর হয়নি, কারণ ডার্বিই বাতিল হয়েছে।

ডুরান্ড কাপ কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল, বাড়তি সেনাবাহিনী নামিয়ে এই ম্যাচ করানোর। কিন্তু আরজি করের ঘটনায় এই মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তার মধ্যে গ্যালারিতে ফের ওই ঘটনা নিয়ে বিদ্রোহ হলে পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যেতে পারে। এই আশঙ্কায় সেনাবাহিনী দিয়েও ম্যাচ করাতে রাজি হয়নি প্রশাসন। তাই ম্যাচ বাতিলই করা হয়।

এই পরিস্থিতিতে দুই দলই জানিয়ে দেয়, তাদের সমর্থকরা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে জমায়েত করবে, মিছিল করবে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে। এই নিয়ে কাল থেকেই চলছিল প্রস্তুতি। চিরদিনের প্রতিপক্ষ দুই দল একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটবে– এই নিয়ে প্রভূত উত্তেজনা ছিল সব মহলে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়ে আসে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবও।

কিন্তু তা আর হবে না। বিধাননগর কমিশনারেট নিষিদ্ধ করে দিল জমায়েত। এর পরেই পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স এবং ব়্যাফে ছেয়ে যায় যুবভারতী ক্রীড়ঙ্গন এলাকা।

এদিন ঘটনাস্থলে কল্যাণ চৌবেকে দেখা যায় প্রতিবাদ করতে। তিনি পিজন ভ্যানের দিকে ছুটে যান সমর্থকদের বার করে আনতে। কিন্তু পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। যুবভারতীর পাশের রাস্তা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের নিয়ে যাওয়া হয় উল্টোডাঙার দিকে।

রবিবার ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। এই মরশুমে প্রথমবার ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের দল খেলতে নামত। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সেই ম্যাচ বাতিল করা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব সারা রাজ্যেই পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বড় ম্যাচ হলে মাঠে নানা বিক্ষোভ হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে দুই দলই জানিয়ে দেয়, তাদের সমর্থকরা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে জমায়েত করবে, মিছিল করবে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে। এই নিয়ে কাল থেকেই চলছিল প্রস্তুতি। চিরদিনের প্রতিপক্ষ দুই দল একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটবে– এই নিয়ে প্রভূত উত্তেজনা ছিল সব মহলে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে এগিয়ে আসে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবও।

এর পরে জমায়েতের কিছু আগেই যুবভারতীর সামনে জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দেয় বিধাননগর কমিশনারেট। তারা বলে, বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কোনও জমায়েত বা মিছিল চলবে না সেখানে। যুবভারতী চত্বরে জারি করা হয় ১৬৩ ধারা। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকা।

এর পরেও সমর্থকদের জমায়েত হয় চত্বরে। তাঁদের অবশ্য দাবি, নিয়ম মেনেই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে ২০০ মিটার দূরে মিছিল করছিলেন তাঁরা। তার পরেও অভিযোগ, পুলিশ আক্রমণ করে ভিড়ের উপর।

Previous articleRim Jhim Sinhaনারী সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে কী বললেন ‘রাত দখলে’-র রিমঝিম? দেখুন ভিডিও
Next articleKolkata Derby Protest আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে কাঁধে কাঁধ ইলিশ-চিংড়ির! যুবভারতীতে লাঠি চালিয়েও পিছু হটল পুলিশ! দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here