দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সলমন, শাহরুখের পর এবার খুনের হুমকি মিঠুন-কে। তাও আবার পাকিস্তানি গ্যাংস্টার প্রাণে মারার হুমকি দিলেন মিঠুনকে। জানা গিয়েছে, প্রবীণ অভিনেতা তথা বিজেপি নেতাকে খুনের হুমকি দিয়েছে পাকিস্তানের গ্যাংস্টার শাহজাদ ভাটি। এই ভাটি আবার জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত।
বলিউড অভিনেতাদের প্রাণনাশের হুমকি আসছে ক্রমাগত। গত দু’মাসে একের পর এক হুমকি পেয়েছেন সলমন খান। গত সপ্তাহে শাহরুখ খানকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এ সব হুমকি দিচ্ছে কুখ্যাত অপরাধী লরেন্স বিশ্নোই। এ বার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল প্রবীণ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে।
অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে শাহাজ়াদা ভাট্টি নামের এক গ্যাংস্টারের তরফে ভিডিয়োবার্তায় হুমকি দেওয়া হয়েছে অভিনেতাকে। তারকাকে সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি মিঠুনের মন্তব্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগ আঘাত লেগেছে। তারই বদলা নিতে এই প্রাণনাশের হুমকি। ভিডিয়োবার্তায় অভিনেতাকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমাও। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে মিঠুনকে। না হলে তাঁর প্রাণনাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৭ অক্টোবর সল্টলেকের ইজেডসিসিতে সেই কর্মসূচি সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে ছিলেন অভিনেতা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর একটি ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেন।
বিজেপির সভায় হুমায়ুনের সেই বক্তব্য টেনেই মিঠুন বলেন, ‘‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই বলছি, যা করতে হয় সব করব। এই সব কিছুর মধ্যে অনেক অর্থ লুকিয়ে রয়েছে। আমাদের এখানকার এক নেতা বলেন, ৭০ শতাংশ মুসলিম, ৩০ শতাংশ হিন্দু। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। ভাবলাম, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কিছু বলবেন। এমন কথা না বলতে বলবেন। কিছু হল না। আমি মুখ্যমন্ত্রী নই। কিন্তু বলে রাখছি, ভাগীরথী নদী আমাদের মা। তাই ভাগীরথীতে কেটে ভাসিয়ে দেব না। কিন্তু তোমার মাটিতেই তোমাকে পুঁতে দেব!’’
ভোটারদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম সংক্রান্ত মন্তব্য করে প্রবীণ অভিনেতা বলেছিলেন, ‘‘এটা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলছে না। ১৯৬৮ সালের ২৮ বছর বয়সি মিঠুন বলছে। রাজনীতি করেছি। রক্তের রাজনীতি করেছি। সব জানি, কে কোথা থেকে কী করবে। আপনাদের পাশে চাই। সাহস চাই। বুক চিতিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’’ অভিনেতার এই মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কিছু থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার জোড়াসাঁকো এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ছাড়া, বৌবাজার থানায় এক ব্যক্তি মিঠুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতেও তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এ বার সরাসরি পাকিস্তান থেকে হুমকি ভিডিয়ো। পাল্টা কী বলেন অভিনেতা? সেটা সময়ের অপেক্ষা।