দেশের সময়: অভিষেককে কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে তলব। আর তাঁর শ্যালিকাকে তলব করা হল দিল্লিতে। অভিষেককে ডাকা হয়েছে ২ সেপ্টেম্বর। তাঁর শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে ডাকা হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর। এই তলবের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন মেনকা। তাঁর আর্জি তাঁকে যেন কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ মামলার শুনানি হওয়ার কথা। এনিয়ে কয়লা পাচার কাণ্ডে দ্বিতীয়বার মেনকাকে নোটিশ পাঠানো হল। যদিও তিনি জানিয়েছেন, দিল্লিতে নয়, তাঁকে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। যদিও ইডি আধিকারিকরা তাঁকে দিল্লিতেই জেরা করতে চান।
গতকালই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা করেছিলেন, তাঁর দলের আরও নেতাকে হেনস্তা কিংবা গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অভিষেকও বলেছিলেন, এই যে এত বড় সমাবেশ। দেখুন, পর চার-পাঁচদিনের মধ্যে কিছু একটা করবে। তৃণমূল সুপ্রিমোর আশঙ্কার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি।
দিল্লির পর এবার কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি থেকে ইডির অফিসাররা আসছেন। এর আগে সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা।
প্রশ্ন উঠছে, আবার কেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা? ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা পাচার কাণ্ডের টাকা কলকাতায় এসেছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। বেশকিছু নতুন তথ্য মিলেছে। সেসব খতিয়ে দেখতেই আরও একবার অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টররা। এর আগে দিল্লিতে ইডির দপ্তরে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
গতকাল মেয়ো রোডে টিএমসিপির সমাবেশে দুর্নীতি কাণ্ডে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও নিশানা করেন অভিষেক। তার আগে দুবাইয়ে ভারত-পাক ম্যাচে অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ জাতীয় পতাকা হাতে নিতে অস্বীকার করায় ট্যুইট করে তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন। এর পর ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ইডি ফের তাঁকে সমন পাঠানোয় এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছে তৃণমূল।
ইডি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মেল করে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। অভিষেককে ইডি সমন পাঠানো নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, গতকালই অভিষেক আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আসলে বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে।
পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত করছে। আর দুর্নীতি না করলে ভয় কীসের। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে, মনে ভয় না থাকলে এত কথা কেন।