দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর দফতর থেকে বাইরে বের হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। কয়লা কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেনকাকে তলব করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, দীর্ঘ সাত ঘণ্টায় দুদফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মেনকাকে। ১৫-২০টি প্রশ্নের প্রশ্নমালা নিয়ে তৈরি ছিলেন আধিকারিকরা। নির্দিষ্ট কিছু অ্যাকাউন্টের তথ্য সহ একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে শ্যালিকার কাছে ৷
টাইপের ভুলে প্রথমবার ইডি-এর নোটিশ পেয়ে রবিবার মাঝরাতে সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে পৌঁছে যান। মেনকা গম্ভীর (Menaka Gambhir)। তাঁর দাবি ছিল, ED-র তাঁকে যে সমন পাঠানো হয়েছিল, তাতে রাত সাড়ে ১২টাই উল্লেখ করা হয়েছিল। ফলে আইনজীবীকে নিয়ে তিনি নির্দিষ্ট সময় CGO কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু, মাঝরাতে বন্ধ ছিল ED-র অফিস। কাউকে ডেকে সাড়া না পেয়ে মিনিট ১০ অপেক্ষা করে ফিরতে হয় মেনকা গম্ভীরকে।
পরে সকালে জানা যায় ইডি নোটিশে 12 PM-এর বদলে 12 AM টাইপ হয়ে গিয়েছিল। তাই সেই ভ্রম সংশোধন করে সোমবার সকালে নয়া নোটিশ পাঠিয়ে বেলা ১২টা নাগাদ সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে শ্যালিকাকে ৷ নির্দেশ মতো নির্দিষ্ট সময়েই হাজিরা দেন রুজিরার বোন মেনকা।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর ব্যাংকক যাওয়ার সময় কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয় মেনকা। সূত্রের খবর, ইডির লুক আউট সার্কুলার জারি থাকার কারণ দেখিয়ে তাঁকে বাধা দেয় অভিবাসন দফতর। এরপর তাঁকে আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরেই বসিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে। এমনকী বিমানবন্দর থেকে ফেরানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে। মেনকা গম্ভীরকে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ একটি ED-র সমন ধরানো হয়। আড়াই ঘণ্টা পরে বিমানবন্দর থেকে ফেরেন মেনকা গম্ভীর।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দিল্লি থেকে আসা তিনজন তদন্তকারী আধিকারিক যাদের মধ্যে একজন মহিলা এবং কলকাতার দুজন আধিকারিক মেনকা গম্ভীরকে এই জিজ্ঞাসাবাদ করেন৷ কয়লা পাচার মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে যেমন জিজ্ঞাসাবাদ পাশাপাশি লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ প্রত্যেকটি বয়ান রেকর্ড করা হয়৷ রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ানের সঙ্গে তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে৷
যে সব অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস জমা করতে বলা হয়েছে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন ব্যাঙ্কক যাচ্ছিলেন? কেন অনুমতি নেওয়া হয়নি আগে থেকে ? এমনই নানা প্রশ্নের সম্মুখীন তাঁকে হতে হয় বলে সূত্রের খবর
উল্লেখ্য, কয়লা কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুচিরা নারুলাকেও একাধিকবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গত সপ্তাহেই ইডি-এর মুখোমুখি হন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক । জিজ্ঞাসাবাদের শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বেনজির আক্রমণ করেন তিনি।