

মেমারিতে দম্পতি খুনের ঘটনায় বনগাঁ কানেকশন। মা-বাবাকে গলার নলি কেটে নৃশংসভাবে খুন করে, বনগাঁয় এসে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল ইঞ্জিনিয়ার ছেলের বিরুদ্ধে। বনগাঁয় ৪ জনকে কোপানোরও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ধৃত হুমায়ুন কবীর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে নয়ডার একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে মেমারিতে মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন ওই যুবক।

পুলিশ সূত্রে খবর, মা-বাবাকে খুন করে অভিযুক্ত বনগাঁয় পালিয়ে আসেন। গতকালের ঘটনার পর এলাকা থমথমে। স্থানীয়দের চোখে মুখে এখনও আতঙ্ক। তাঁদের দাবি, কুঠার হাতে হামলা চালান অভিযুক্ত হুমায়ুন কবীর। কেউ তাঁর কাছে ঘেঁষতে পারছিল না। হুমায়ুনকে আগেও এই এলাকায় দেখা গেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। তবে মা-বাবাকে খুনের পর বনগাঁ হয়ে বাংলাদেশে পালানোর ছক কষেছিলেন হুমায়ুন? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। দেখুন ভিডিও
পুলিশ সূত্রে খবর, হুমায়ন দাবি করেছেন তাঁর মা-বাবা গরিব মানুষদের দেখতে পারতেন না। গরিবদের কাজের লোক বলে সম্বোধন করতেন। তাই মা-বাবাকে খুন করেছেন তিনি।

পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে বাবা-মাকে খুনের পর, বুধবার সন্ধেয় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় এসে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত হুমায়নের বিরুদ্ধে। হাতে কুঠার নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকেন তিনি। এই ঘটনায় জখম হন ৪ জন। অভিযুক্তকে নিজেদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে বনগাঁ থানা চত্বরে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের আজ আদালতেও পেশ করা হলে বিচারক বনগাঁ থানায় ভাংচুরের ঘটনায় ১০ জন কে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত। এবং অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরকে ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতে নির্দেশ দেন।

বনগাঁ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাদ্রাসা কমিটির পক্ষ থেকে দোষী হুমায়ুন কবিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
