সৃজিতা শীল, কলকাতা: ব্যস্ত কলকাতার একমুঠো অন্যছবি। কারোর অফিসে যাওয়ার তাড়া, কেউ স্কুল ফেরত বাচ্চা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। অটো ওয়ালারা অনবরত হেঁকে যাচ্ছেন, হাতিবাগান, হাতিবাগান…। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে ‘ সারা রাজ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। মৃত্যুর খবর সংবাদ পত্রে কিছু কিছু প্রকাশ পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে দরকার সচেতনতা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আয়োজন করেছিল ডেঙ্গু সচেতনতা শিবির।
রাখিতে চিত্র সহযোগে বোঝানো হয় ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিরোধ।
ডেঙ্গু হল এডিস মশা বাহিত একটি ভাইরাল রোগ এখন রাজ্যেজুড়ে যার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।
তাই এই রোগ প্রতিরোধে মশার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার কথাই বেশী করে বলা হয়। যেমন শোওয়ার সময় মশারী টাঙানো, মশারোধক ক্রীম ব্যবহার, কোথাও জল জমতে না দেওয়া ইত্যাদি “।কথায় আছে প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর। রোগ হলে যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে।কিন্তু সব থেকে ভাল হল রোগ যাতে না হয় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ। “
মশা রোধে বাড়ির চারপাশে ব্লিচিং পাউডার দেয় ও কাছাকাছি এলাকায় পড়ে থাকা কাটা ডাব, সরা ও মালসা উল্টে দেওয় বা ভেঙে দেওয়।’। মাইক হাতে এক মধ্য বয়স্ক মানুষ, সঙ্গে আরও অনেকে। রাখি বন্ধন উৎসব চলছে, তবে একেবারে অন্য ভঙ্গিতে।
‘রক্ষা বন্ধনের মোড়কে ডেঙ্গু প্রতিরোধের মেসেজ’, রাখি বন্ধন উৎসবে অভিনব উদ্যোগ মেডিক্যাল ব্যাঙ্কের। ডেঙ্গু থেকে কি ভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে সেই বার্তাই মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ডি আশিসের নেতৃত্বাধীন মেডিক্যাল টিম।
শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের কাছেই তাদের মেডিক্যাল টিম নিয়ে উপস্থিত হয়েছে মেডিক্যাল ব্যাঙ্ক। মাইকের আওয়াজ যতদূর পৌঁছে যাচ্ছে, কান পাতলে শোনা যাচ্ছে , ” ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী করণীয় কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে তারই বার্তা “৷ ডেঙ্গু প্রতিরোধের সমস্ত বিষয়
জেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও পথচলতি মানুষকে একই ভাবে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে মেডিক্যাল ব্যাঙ্ক।
সারিবদ্ধ মানুষের হাতে হাতে একটা রাখি মেডিক্যাল ব্যাঙ্কের কর্মীরা পরিয়ে দিচ্ছেন, যেখানে ‘রক্তের রঙে’ স্পষ্ট লেখা, ‘ডেঙ্গু নয়, মশা যাক মানুষ থাক’। সঙ্গে রয়েছে সম্প্রীতি ও ভালোবাসাও।
উল্লেখ্য, এই রাখি তৈরি করেছেন কুমোরটুলির শোলা শিল্পীরা। রাখি বন্ধন উৎসবে সামিল পথচলতি মানুষের মুখ মিষ্টির জন্য লাড্ডুর ব্যবস্থাও রেখেছে মেডিক্যাল ব্যাঙ্ক। আর এই অভিনব উদ্যোগে সুশৃঙ্খল ভাবেই অংশগ্রহণ করছেন পথচলতি মানুষ।
মেডিক্যাল ব্যাঙ্কের কর্ণধার ডি আশিস জানাচ্ছেন, মূলত শোভাবাজার অঞ্চলের মানুষকে নিয়েই আমাদের এই উদ্যোগ। তবে পথ চলতি মানুষও এতে সামিল হয়েছেন। বহু মানুষ আমাদের ডাকে সারা দিয়েছেন”।
এর সঙ্গেই দীর্ঘ তিন দশক ধরে রক্তদান আন্দোলনের কর্মী ডি আশিস জানাচ্ছেন, “মানুষ যে সর্বতোভাবে এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন, এতে আমরা খুশি”।