

ঠাকুরনগরে শুরু বারুণী মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে ফি বছর কয়েক লক্ষ ভক্তের ঢল নামে ঠাকুরবাড়িতে। এ বারও একই ছবি। বুধবার রাত থেকেই উৎসবের আবহ সেখানে। রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কামনা সাগরে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে মতুয়া ধর্মের মহামেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসেছেন ঠাকুরনগরে। এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঠাকুরনগরে শুরু বারুণী মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে ফি বছর কয়েক লক্ষ ভক্তের ঢল নামে ঠাকুরবাড়িতে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উৎসবের আবহ সেখানে।

বুধবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে কামনা সাগরে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে মতুয়া ধর্মের মহামেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসেছেন ঠাকুরনগরে।

বারুণী মেলার জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ঠাকুরবাড়ি। ঠাকুরনগর স্টেশন এলাকায় রেল পুলিশের পাশাপাশি মেলার চারপাশে জেলা পুলিশের কয়েকশো কর্মী মোতায়েন হয়েছে। মেলা কমিটির পক্ষ থেকেও অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবক ও সিসিটিভি বসানো হয়েছে।
মেলা চত্বর এবং কামনা সাগরের ধারে অতিরিক্ত শৌচালয় ও স্নানের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। মতুয়া ভক্তদের জন্য অতিরিক্ত ট্রেন চালাচ্ছে রেল। বিভিন্ন রাজ্য থেকে ঠাকুরনগরে যাওয়ার জন্য ট্রেন চালু হয়েছে। নজরদারিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন।

https://x.com/MamataOfficial/status/1905061960569479268?t=csF–tknmLsQhKNykFijwg&s=19
এ বছর এই মেলা ঘিরে টানটান উন্মাদনা। কারণ, এত দিন এই মেলার আয়োজনের ভার ছিল তৃণমূল সাংসদ ও ঠাকুরবাড়ির সদস্য মমতাবালা ঠাকুর ও তাঁর শিবিরের লোকজনের উপর। এ বছর এই মেলার দায়িত্ব কে পাবেন, তা নিয়ে জলঘোলা হয়। এ বার বিজেপি সাংসদ ও অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরকে সঙ্গে নিয়েই মেলা করছেন মমতাবালা। এই সিদ্ধান্তে খুশি মতুয়া ভক্তরাও।

মমতাবালা ঠাকুর সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘মেলা বিধায়ক-সাংসদের ব্যাপার নয়। এটা ভক্ত ও ভগবানের মহামিলন, মা-সন্তানের ব্যাপার। এই মহামিলনের উৎসবই আমরা চেয়েছিলাম। প্রমথরঞ্জন ঠাকুর ও বীনাপাণিদেবী যা চালু করেছিলেন। সংসারে থাকলে ভুল বোঝাবুঝি হয়ই। এটা সংসারের নিয়ম। ভক্তরা শান্তি পান, এটাই আমি চাই।’
মতুয়া মহাসঙ্ঘের দুই শিবির মিলেই তৈরি করেছে মেলা কমিটি। দুই শিবিরের ভক্তদের মুখেও ঐক্যেরই বার্তা। মতুয়াগড়ে এ যেন এক নতুন মিলনের সুর। মেলাই মিলিয়েছে সবাইকে। মতুয়া ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘জয় হরিচাঁদ, জয় গুরুচাঁদ। মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে মহাবারুণী, পূর্ণব্রহ্ম শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র বিশ্বের সাধু, গোঁসাই, দলপতি, মতুয়াভক্তবৃন্দ নির্বিশেষে সকলকে জানাই আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম, শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।’

https://x.com/narendramodi/status/1905180779896009103?t=DDOsjlgCZ0aa4ynOE48clQ&s=19
শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘মতুয়া ধর্ম মহামেলার শুভেচ্ছা সকলকে। আমাদের সরকার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। আমরা অক্লান্ত ভাবে তাঁদের জন্য কাজ করে যাব।’
