Matua: গৃহযুদ্ধ ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে! মমতাবালা- শান্তনুপন্থীদের মধ্যে চরম সংঘর্ষ , উত্তেজনা

0
4

উত্তপ্ত ঠাকুরবাড়ি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী
শান্তনু ঠাকুরের একটি মন্তব্য আর তার প্রতিবাদে মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীদের প্রতিবাদ মিছিল। দুপক্ষের মধ্যে অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক ধস্তাধস্তি। ঠাকুরবাড়িতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শান্তনুর বক্তব্য, মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন মমতাবালা ঠাকুর। কেন শান্তনু এই ধরনের মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীরা তাঁর কাছে জবাব চাইতে চান। তা নিয়েই উত্তেজনা ছড়ায়।

দেশের সময় , ঠাকুরনগর : এসআইআর আবহে উত্তপ্ত হল ঠাকুরনগর। মতুয়াদের মধ্যেই মারপিট, ধস্তাধস্তি। তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুর এবং বিজেপির শান্তনু ঠাকুরপন্থীদের মধ্যে ঘটে এই বিবাদ। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে মাটিতে ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই। সবমিলিয়ে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে ঠাকুরনগর মতুয়াগড়ে।

মমতাবালাপন্থীদের দাবি, সম্প্রতি শান্তনু ঠাকুর এসআইআরে ১ লক্ষ মতুয়াদের নাম বাদ যাওয়ার যে কথা বলেছিলেন তাতে প্রবল আশঙ্কিত তাঁরা। সেই প্রেক্ষিতে মিছিল করে তাঁর কাছে জবাব চাইতে এসেছিলেন তাঁরা। কেন তিনি এই কথা বললেন, তার উত্তর পাওয়াই লক্ষ্য ছিল। কিন্তু অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির কাছে আসতেই তাঁর লোকজন তাঁদের ওপর চড়াও হয়।

এদিকে শান্তনু ঠাকুরপন্থীদের পাল্টা দাবি, মমতাবালার লোকজনরা এসে আগে তাঁদের ওপর চড়াও হন। তাঁদের মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। শান্তনু ঠাকুরের স্ত্রী আবার বলেছেন, যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তাঁদের ওপরে চড়াও হয়েছেন তাঁরা হার্মাদ বাহিনী, দুষ্কৃতী! ঠিক কী কারণে এমন ঘটানো হল, সেটা তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়। 

শান্তনু ঠাকুরপন্থীদের আরও অভিযোগ, যারা এসে হামলা চালিয়েছেন তারা কেউ মতুয়াই নন! মমতাবালা ঠাকুর তাদের মতুয়া সাজিয়ে পাঠিয়েছেন এই কাজ করার জন্য। এরা সকলে তৃণমূলের লোক। অন্যদিকে কার্যত একই অভিযোগ করেছেন মমতাবালাও। তাঁর দাবি, শান্তনু ঠাকুর ভুয়ো মতুয়াদের দিয়ে গন্ডগোল পাকিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত এই বিষয়ের সূত্রপাত সোমবার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁর গাড়াপোতাতে একটি প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, শান্তনু বলেন, “এসআইআর-এ আমাদের কোনও সমস্যা নয়। ভারতবর্ষের সরকারকে সহযোগিতা করবার জন্য এসআইআর যদি মানতে হয়, তাহলে মানব না কেন!” আর সেই প্রসঙ্গেই বলেন, “৫০ লক্ষ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলমান, পাকিস্তানি মুসলমানকে বাদ দিতে গিয়ে যদি আমার সম্প্রদায়ের এক লক্ষ মানুষকে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে হয় তাতে কী আসে যায়।” আর তা থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।

Previous articleশীত পড়তেই বুটিক শাড়ীর প্রদর্শনী ও মেলার রোশনাই বনগাঁ শহরে: দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here