দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মণিপুরের জাতিদাঙ্গায় হিংসার আগুন জ্বলে উঠছে নতুন নতুন জায়গায়। আজ, শুক্রবার ভোরে, ইম্ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিং-এর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।
সূত্রের খবর, এদিন ভোরে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় ইম্ফলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিং-এর বাড়িতে। তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, ঘটনার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি এখন দিল্লিতে আছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত ৩ মে থেকে মণিপুরে সংখ্যাগুরু মেইতেই এবং আদিবাসী কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে নজিরবিহীন হিংসা চলছে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ইতিমধ্যেই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। এর আগে, বুধবার রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী নেমচা কিপগেনের বাংলোতেও।
গত ৩ মে থেকে মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসাত্মক পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ইতিমধ্যেই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। এর আগে, বুধবার রাতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী নেমচা কিপগেনের বাংলোতে। এবার শিকার হলেন আরকে রঞ্জন সিং।
বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্বে আছেন রঞ্জন সিং। এর আগেও পশ্চিম ইম্ফলের কোংবাতে অবস্থিত তাঁর আর একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। প্রসঙ্গত, আরকে রঞ্জন সিং মেইতেই সম্প্রদায়েরই মানুষ, গতবারের হামলায় অভিযুক্তরা মেইতেই সম্প্রদায়েরই ছিল বলে জানা গিয়েছিল। তারা সেবারেও মন্ত্রীর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
গতকাল, বৃহস্পতিবারই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেছিলেন যে শান্তি ফেরাতে সরকার সবরকম চেষ্টা করছে, একাধিক স্তরে আলোচনা চলছে। এর আগেও একথা বলেছেন তিনি। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি মোটেও তেমন পথে এগোচ্ছে না মণিপুরে।
অশান্ত মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সম্প্রতি তিন দিনের সফরে মণিপুরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুর বিজেপি শাসিত রাজ্য। কেন্দ্রেও বিজেপি সরকার। সেখানে শান্তি ফিরাতে না পারা মোদী সরকারের ব্যর্থতা বলেই পরিগণিত হচ্ছে।
গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে বীরেন সিং বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করছি। রাজ্যপাল একটি শান্তি কমিটিও গঠন করেছেন এবং এই কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা শুরু হবে। আশা করি রাজ্যের জনগণের সমর্থনে, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শান্তি অর্জন করব। বহু মানুষ তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। রাতারাতি সব ঠিক হবে না, তবে সরকারের প্রচেষ্টায় এবং জনগণের সদিচ্ছায় হিংসা কমছে।’