দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তিন দিনের সফরে উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক সেরেই রওনা দেবেন। বিশেষ বিমানে পৌঁছবেন বাগডোগরা। তার আগে রীতিমতো ভিডিও প্রকাশ করে হুঁশিয়ারি দিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএলও।
রাজ্য সরকারকে ‘বহিরাগত’ বলেও দাবি করল। এদিন একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করলেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। তাতে বারবার রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন। সাম্প্রতিক কালে এই ধরনের আক্রমণ করতে তাঁকে দেখা যায়নি। পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদেরও পৃথক কোচ–কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে সরব হওয়ার জন্য বার্তা দেন জীবন।
আগামী কাল, সোমবারই বাগডোগরা থেকে হেলিকপ্টারে করে হাসিমারা এয়ারফোর্স স্টেশনে পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার রাতে মালঙ্গি ফরেস্ট টুরিস্ট লজে থাকবেন তিনি।
তাঁর এই সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু। রবিবার থেকেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যার সামনে প্যারেড গ্রাউন্ডে। এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাস্থল। রবিবার থেকেই সভাস্থল খতিয়ে দেখা শুরু প্রশাসনের।
হেলিকপ্টার এসে ঘুরে গিয়েছে। হেলিপ্যাড থেকে সভাস্থল পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলছে। ৭ তারিখ প্যারেড গ্রাউন্ডে দুই জেলা আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির কর্মিসভা রয়েছে। পরদিন সুভাসিনি চা বাগানে গণবিবাহের আসর বসবে। সেখানেও যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠকও।
মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার জেলায় আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্মিসভা করবেন। ওই দিনও রাতে মালঙ্গি ফরেস্ট টুরিস্ট লজে থাকবেন মমতা। বুধবার আলিপুরদুয়ার জেলার সুভাষিনী ফুটবল গ্রাউন্ডে একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রী ১৫০ কোটি টাকার ১৪টি প্রকল্প ঘোষণা করতে পারেন। এছাড়া আলিপুরদুয়ারে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩টি পানীয় জল প্রকল্পের উদ্বোধনও করতে পারেন।
এছাড়া ডুয়ার্সের রাজাভাতখাওয়ায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বক্সা গেট ও সংস্কারের পর বক্সা ফোর্টেরও উদ্বোধন করতে পারেন তিনি। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মীনা জানান, আলিপুরদুয়ারে প্রায় ১৪০ কোটি টাকার জলস্বপ্ন প্রকল্পের কাজ শীঘ্র শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৬ কোটি টাকায় ১৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ। এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, জেলার বেশ কিছু চা বাগানে ১৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানীয় জলের সুবিধে পাবেন। এ ছাড়া বেশ কিছু চা বাগানে কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পগুলির কাজ শেষ হলে ২ লক্ষ পরিবার উপকৃত হবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার জেলায় জলস্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ২১৫টি পরিবারকে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ১৩৬টি পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, জলস্বপ্ন প্রকল্পে উত্তরবঙ্গে প্রথম স্থানে রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা। অন্যদিকে ২০১৯ সালে বক্সা ফোর্টের কাজ শুরু হয়। দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ হয়। সংস্কারের পর মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই খুলে যাওয়ার কথা এই ফোর্টের।