দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অগ্নিপথ নিয়ে দেশ জুড়ে প্রবল বিক্ষোভ।কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনিতেই কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এবার সরাসরি মোদী সরকারকে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
কংগ্রেস থেকে আপ সব দলের নেতারাই নিজেদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল, এই প্রসঙ্গে কী বলবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। আজ বিধানসভার অধিবেশনে অবশেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
সোমবার তিনি বলেন, “অগ্নিপথ আসলে বিজেপির ক্যাডার তৈরির প্রকল্প। এরাই ভোট লুঠ করতে সাহায্য করবে। বিজেপির পার্টি অফিস পাহারা দেবে।” সঙ্গেই বলেন বিজেপি গুন্ডা তৈরি করতে চায়। সেই কারণেই চার বছরের এই ললিপপ।
মুখ্যমন্ত্রী এই ভোট লুঠ এবং পার্টি অফিস পাহারার মন্তব্যের পিছনে অনেকেই কৈলাস মন্তব্যের জের খুঁজে পাচ্ছেন। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলছেন, দলীয় কার্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে তিনি প্রাধান্য দেবেন অগ্নিবীরদের। তারপর থেকেই বিরোধিতার ঝড় উঠেছে এক প্রকার। রাজনৈতিক মহলের মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যেও কৈলাস বক্তব্যের জের রয়েছে।
ত্রিপুরায় সোমবার অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, তৃণমূলের কোনও নেতা এই ধরনের মন্তব্য করলে তাঁকে বহিষ্কার করা হত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্নিপথ প্রসঙ্গে আরও বলেন, “এই চার বছরের চাকরি সেনার চাকরি নয়। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে ঘোষণা হয়নি। ঘোষণা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে।” শঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, “চার বছরের চাকরি চলে গেলে কী হবে কেউ জানেনা। অথচ বন্দুক চালানোর লাইসেন্স পেয়ে গেল।” সারা দেশ জুড়ে আগুন নিয়ে এভাবে খেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
প্রসঙ্গত, মমতার ভাষণ চলাকালীন শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি নেতারা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তৃণমূল সরকারকে ‘ঘুষখোর সরকার, আর নেই দরকার’ ধ্বনি দিতে দিতে ওয়াকআউট করেন সকলে। ২০ জুন দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করার ব্যানার নিয়ে রেড রোড ধরে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা।