সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে ২০১৬ সালের SSC-র প্যানেলের শিক্ষাকর্মীদের। তাঁদের জন্য এবার ‘সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিম’-এর মাধ্যমে ‘এক্সগ্রাসিয়া’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রুপ সি কর্মীদের জন্য ২৫ হাজার এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, মে মাসের শুরুতেই চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য এসএসসির মামলায় রিভিউ করছে রাজ্য সরকার।
‘সবার যাতে চাকরি থাকে সেই বিষয়টা আমরা দেখব,’ শনিবার নবান্নে চাকরিহারা গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীদের বরাভয় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ফোনে চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি জানান, সরকার গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীদের জন্য রিভিউ পিটিশন করবে। এছাড়াও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ সাহায্যও ঘোষণা করেছেন তিনি। সেক্ষেত্রে গ্রুপ সি কর্মীরা মাসিক ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন।

এদিন মুখ্যসচিবের পৌরহিত্যে মুখ্যমন্ত্রী ফোন মারফত জানান, আদালত যদি একান্তই শিক্ষাকর্মীদের কাজ করার অনুমতি না দেয় তাহলে সরকার আইন মোতাবেকই অন্য উপায় খুঁজে দেখবে। কী করা যায়, সেটাও ভেবে দেখবে।

শিক্ষাকর্মীদের উদ্দেশে মমতা এ দিন বলেন, ‘যতক্ষণ না আইনত কোনও ব্যবস্থা হচ্ছে, গ্ৰুপ সি ও গ্ৰুপ ডি কর্মীদের কোনও সুরাহা হচ্ছে, ততদিন গ্রুপ সি কর্মীদের ২৫ হাজার, গ্ৰুপ ডি কর্মীদের ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিম মারফত এই টাকা দেওয়া হবে। আমরা কোনও ভাগাভাগি করছি না। কারণ, আমরা কোর্টের রায় মেনে কাজ করব।’

সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি পুরো প্যানেল বাতিল করার কারণে শিক্ষাকর্মীদের বেতন বন্ধ হচ্ছে এপ্রিল মাস থেকেই। এ দিন মমতা জানান, এর মধ্যে আমি শিক্ষা দপ্তরকে জড়াচ্ছি না। তবে, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে রিভিউ পিটিশন হচ্ছে। মমতা বলেন, ‘শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সবার জন্যেই রিভিউ পিটিশন। আইনের ব্যবস্থা তৈরি করছি। সেই জন্যে অপেক্ষা করছি। তাড়াহুড়ো করে ভুল করতে চাই না। চাকরি ব্রেক হয়ে গেলে সমস্যা হয়। আমাদের রিভিউ করতে করতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ হবে। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’
সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি পুরো প্যানেল বাতিল করার কারণে শিক্ষাকর্মীদের বেতন বন্ধ হচ্ছে এপ্রিল মাস থেকেই। এ দিন মমতা জানান, এর মধ্যে আমি শিক্ষা দপ্তরকে জড়াচ্ছি না। তবে, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে রিভিউ পিটিশন হচ্ছে। মমতা বলেন, ‘শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সবার জন্যেই রিভিউ পিটিশন। আইনের ব্যবস্থা তৈরি করছি। সেই জন্যে অপেক্ষা করছি। তাড়াহুড়ো করে ভুল করতে চাই না। চাকরি ব্রেক হয়ে গেলে সমস্যা হয়। আমাদের রিভিউ করতে করতে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ হবে। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি যাওয়ার পরে সমস্যায় পড়ে রাজ্যের সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি। অনেক স্কুলেই একের বেশি শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোরের সভায় চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

এতজনের চাকরি বাতিল হলে স্কুল কীভাবে চলবে! সেই আশঙ্কা থেকে নতুন করে প্যানেল তৈরি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শিক্ষাকর্মীদের আপাতত কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি আদালত। সেই নিয়েই আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছিল তাঁদের মধ্যে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবারের বারবেলায় নবান্ন সভাঘরে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীরা। সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া তাঁদের মাসিক ভাতা দেবে সরকার।
