Mamata Banerjee: মতুয়াদের পাশে আছেন তিনিই, দাবি মমতার

0
532

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উপল সেনগুপ্তর গাওয়া একটি গানের কথা ছিল এই রকম—‘ঠিকানাহীন একটা বাড়ি/ আলো-ছায়া অংশীদারি।’

অর্থাৎ বাড়ি রয়েছে। কিন্তু নিশ্চয়তা নেই। আলো-ছায়ার মতো দোটানা। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ‘উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত জমির দলিল প্রদান কর্মসূচি’তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, এবার আপনারা নিজের ঠিকানা পেলেন। অর্থাৎ যে ঠিকানা সব হারিয়ে আসা মানুষ, যাঁরা উদ্বাস্তু হয়ে এসে বসবাস করছিলেন দীর্ঘদিন, তাঁদের সব ছিল কিন্তু আইনত নিজের ঠিকানা ছিল না। তাঁর কথায়, ‘অনেক সংগ্রাম, অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে এসে আজকে আপনারা ঠিকানা খুঁজে পেলেন।’

দলিল দেওয়ার পাশাপাশি ওই মঞ্চ থেকেই মমতা বললেন, ২৬১টি কলোনিকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাঁদের কেউ উৎখাত করতে পারবে না। ডিড দেওয়ার ফলে ৫২ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। ২৭ হাজারের বেশি মানুষকে পাট্টা দেওয়া হয়েছে। তিনি এও জানান, মতুয়ারাও পাট্টা পাবেন। তাঁদেরও কেউ উচ্ছেদ করতে পারবে না।

সেইসঙ্গেই মমতা জুড়ে দেন, মতুয়াদের নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এতে যেমন বিজেপিকে খোঁচা রয়েছে তেমনই মতুয়াদের উদ্দেশেও মমতা সরকারি মঞ্চ থেকে বার্তা দিলেন, ওরা শুধু রাজনীতিই করবে। আশু সমস্যার সমাধান করবে তাঁর সরকারই।

কেউ কেউ এও মনে করছেন, যেহেতু বঙ্গ বিজেপিতে এখন মতুয়াদের বিদ্রোহ চলছে, শান্তনু ঠাকুররা রণংদেহি মেজাজে কোন্দলকে প্রকাশ্যে এনে ফেলেছেন, এদিন হয়তো কৌশলে সেটাকেও উস্কে দিতে চেয়েছেন মমতা।

এমনিতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে মমতা-বিজেপি সংঘাত শুরু থেকেই রয়েছে। সেই সময় থেকেই মমতা বলতেন, মতুয়ারাও নাগরিক। তাঁরা ভোট দেন। ভারতের নাগরিক না হলে তাঁরা ভোট দেন কী ভাবে, ভোটে দাঁড়ান কী ভাবে? এদিন দেখা গেল সরকারি অনুষ্ঠানের ব্যাকড্রপেও লেখা, ‘উদ্বাস্তুরা সবাই নাগরিক।’ অর্থাৎ নাগরিকত্বের আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই। যেটা প্রয়োজন সেটা হল নিজের ঠিকানা। সেটা দিচ্ছে বাংলার সরকার। এদিন মমতা আরও বলেন, ছিটমহলের মানুষের আবসনের সমস্যাও তাঁর সরকার সমাধান করেছে।

এদিকে রাজ্যে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ও কলেজ-‌বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হয়েছে।
পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ‘‌পাড়ায় শিক্ষালয়’ প্রকল্প চলছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিকেরও অফলাইন ক্লাস শুরুর পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নেতাজি ইন্ডোরে উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা বিলি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আবার করোনার একটা নতুন স্ট্রেন আসবে বলছে। সেটার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।‌ তেমন ভয়াবহ না হলে ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে প্রাথমিকের ক্লাস‌ শুরুর ভাবনাচিন্তা চলছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অর্ধেক অর্ধেক করে ছাত্রছাত্রীরা এলে পঠন-‌পাঠন চালু করা যায়।’‌

প্রসঙ্গত, এমনটা হলে দীর্ঘ দু’‌বছর পর সকলেরই স্কুল খুলবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, সোম-‌বুধ-‌শুক্র ও মঙ্গল-‌বৃহস্পতি-‌শনি এইভাবে স্কুল খোলা হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। কয়েকদিন আগেই স্কুল খুলে দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত্‍ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরপরই এই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Previous articleদাবি তুলেছিলেন বিশ্বজিৎ, সিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, বাগদা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে সিজার চালু , খুশি বাসিন্দারা
Next articleWeather Forecast : আবহাওয়ার মতি বদলাচ্ছে ‘মিনিটে মিনিটে’! ফের কী শীত ফিরবে? যা জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here