দেশের সময় ,কলকাতা : ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। ‘ভাষা দিবস’-এর প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ভাষার জন্য বাংলাদেশের মানুষের লড়াইয়ের কথা মনে করালেন। তিনি বলেন, ‘‘২১ ফেব্রুয়ারি আমরা কি ভুলতে পারি।’’ সেই সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘মাতৃভাষার জন্য লড়াইয়ে প্রাণ হারানো শহিদদের আমি সম্মান জানাই।’’
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ধর্মনির্বিশেষে সকল ভাষাভাষী মানুষকে ‘আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস’-এর আগাম অভিনন্দন জানাই।’’ তার পরই তিনি মাতৃভাষার জন্য বাংলাদেশের মানুষের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বাংলাদেশের মানুষ ভাষার জন্য অনেক লড়াই করেছেন। অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। অসমের শিলচর, করিমগঞ্জের অনেক মানুষও এই লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন। সমস্ত শহিদকে সম্মান জানাই।’’
এর পর মমতার কথায় উঠে আসে অতীতে ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাংলাদেশে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এক বার আমার ২১ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। হাসিনাজি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি গিয়ে দেখে এসেছি।’’
মঙ্গলবার নবান্নের সামনে থেকে অত্যাধুনিক পরিষেবা যুক্ত ২৫টি অ্যাম্বুল্যান্সের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাংসদ তহবিল থেকে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এগুলির সংস্থান হয়েছে। রাজ্য সরকারের অর্থানুকুল্যে ২টি মোবাইল ডেন্টাল ভ্যানেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ ও বর্ধমান ডেন্টাল কলেজের জন্য ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে এই দুটি কেনার জন্য।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন , ” ৬৭ কোটি রাস্তার কাজে দিয়েছি। আগে তো কিছুই ছিল না। অ্যাম্বুলেন্স থাকলে
জীবন বেঁচে যায়।। রাজ্যসভার এমপিদের টাকা সামাজিক কাজে ব্যবহার করি। ” তার সংযোজন, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ আমাদের থিম আছে। অন্যরা তা নকল করেছে। ভাল জিনিস নকল করা অবশ্য ভাল।
“উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যসভায় আমার যে সাংসদরা রয়েছেন, তাঁদের তহবিলের টাকা আমি বিভিন্ন ভাবে সামাজিক কাজে ব্যবহার করি। আজকেও যে অ্যাম্বুল্যান্স উদ্বোধন করা হল, তা-ও সংসদ তহবিলের টাকায় তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও রাস্তার জন্য ৬৭ কোটি টাকা দিয়েছি আমি।’’ এর পর পুলিশকে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’ কর্মসূচির উপর জোর দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।