দিল্লিতে আন্দোলনরত কুস্তিবীরদের সমর্থনে গত বৃহস্পতিবারই কলকাতার রাজপথে মোমবাতি মিছিলে শামিল হন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন ময়দানের গোষ্ঠ পালের মূর্তি থেকে মেয়ো রোড-ডাফরিন রোডের ক্রশিংয়ে গান্ধির মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করেন তিনি৷ কিন্তু, এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী দেখা যায় মোটরবাইকে সওয়ার হতে৷ যে ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ এই ছবি নিয়ে বিশিষ্ট চিত্রসাংবাদিক অশোক মজুমদার তাঁর ফেসবুক ওয়ালে যা লিখলেন ৷
অশোক মজুমদার : মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের বাইকে গান্ধীমূর্তি থেকে কালীঘাটের বাড়ি ফিরছেন। যদিও এটা কোনো নতুন ঘটনা নয়। এরকম ছবি অসংখ্যবার প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আজকের ঘটনাটা কি ? হঠাৎ আজকে বাইকে বাড়ি ফিরলেন কেন ?
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন গত দু’দিন ধরে ভারতবর্ষে একমাত্র আমাদের মুখ্যমন্ত্রীই সোনার ছেলেমেয়েরা যারা ভারতবর্ষের নাম অলিম্পিকে উজ্জ্বল করেছে তাদের আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
আজও গোষ্ঠগোপালের মূর্তির সামনে থেকে কুস্তিগীরদের উপর বিজেপি সরকারের অমানবিক ব্যবহারের জন্য মোমবাতি হাতে নিয়ে মিছিল করছিলেন।
ঠিক সেই সময় রিপাবলিক টিভির ক্যামেরাম্যান শুভ্রাংশু ঘোষ ধাক্কাধাক্কিতে রাস্তায় পড়ে যান এবং জ্ঞান হারান। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে চোখে মুখে জল দেন। মিছিল থামিয়ে নিজের গাড়িতে শুভ্রাংশকে তুলে পিজি হাসপাতালে পাঠিয়ে ফোন করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। উল্লেখ্য শুভ্রাংশুর ছেলে অর্ঘ্যও আজতক এর ক্যামেরাম্যান। সেও সেখানে উপস্থিত ছিল।
এরপর গান্ধীমূর্তিতে মিছিল শেষ করে পুলিশবাইকে উনি কালীঘাটের বাড়িতে ফেরেন।
ঘটনাটি এইটুকুই….
https://twitter.com/ANI/status/1664250647800320001?t=l6h0oj9UZY3K-BbaRCRzyA&s=19
আমার সাংবাদিকতায় বহুবার পথ চলতি এরকম ব্যাপার আমি দেখেছি। এমনকি কিছুদিন আগে উনি নিজের কপ্টারে সাগর থেকে এবিপি আনন্দর সাংবাদিক সুমন ঘড়াই হটাৎ অসুস্থ হয়ে পরায় ওকে কলকাতায় পাঠিয়েছিলেন।
ঘটনাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। কিন্তু আমি জানি অনেকেই এটা লেখার জন্য আমাকে কটুকথা বলার সৌজন্য ছাড়বে না। তবে সাংবাদিক হিসেবে শুধু এইটুকু বারবার বলবো, তাৎক্ষণিকভাবে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি করে অসুস্থ সাংবাদিককে পাঠানো এটা ভাবা যায় কিন্তু করতে গেলে যে মনটা দরকার সেটা আমাদের বাংলার এই মেয়েটার ভিতরে আছে। কারণ মনুষ্যত্ব শব্দটা শুনতে যতটা ভালো করে দেখানো ততটাই কঠিন।
ছবিটি তুলেছেন পিন্টু মন্ডল।