দেশের সময়: শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল। দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে সাভারকরের জন্মদিনে নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানও বয়কট করছে তৃণমূল।
এদিকে, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে মমতাকে আক্রমণ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর তোপ, এটা কোনও অভিমানের প্রশ্ন নয়। বাংলার মানুষের জন্য প্রাপ্য কড়াই গণ্ডায় বুঝে নেওয়ার বিষয়। অধিকার আদায়ের প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রীর অবশ্যই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়া উচিত। আসলে তিনি মুখে বঞ্চনার কথা বলেন।
কিন্তু সঠিক ফোরামে বাংলার বঞ্চনা নিয়ে কথা বলেন না। আসলে দিদি সবসময়ই সমঝোতা করেন। লড়াই করেন না। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের তোপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়ে কী বলবেন, আমরা টাকা খরচের হিসাব দিই না? কী বলবেন, আমরা এক খাতের টাকা অন্য খাতে খরচ করি? আসলে কিছুই বলার নেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। সেকারণেই তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে চাইছেন না। আসল কথা, বাংলা এক চরম সর্বনাশের পথে এগচ্ছে।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন যা মনে হয়, সেটাই করেন তিনি। রাজ্যের ভালর জন্য কিছুই করেন না। ওনাকে হয়তো কেউ বলেছিলেন, কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে মোদিকে হয়তো পরোক্ষে বার্তা দেওয়া যাবে, তিনি বিরোধীদের সঙ্গে নেই। তাঁরাই হয়তো এখন বলেছেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দিয়ে বিরোধীদের বার্তা দেওয়া যাবে, তিনি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন। কিন্তু ওনার আসল অবস্থান যে আসলে কী, তা তিনি নিজেই জানেন না।