দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক চলছিল। আদিবাসী উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সেই বৈঠক শেষে ৫টা ৪২ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী সেখান থেকে বেরোতেই তাঁর কনভয়ের সামনে আচমকা হাজির হন এক ব্যক্তি। নিরাপত্তাবেষ্টনী পেরিয়ে তাঁর এহেন ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়ে যায়। সঙ্গে পুলিশের হাতে আটক সে।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম শেখ সমীরুল(৩৫)। সোমবার কোনও অনুমতি ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। এরপরই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক আধিকারিকরা তাঁকে শিবপুর থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি কাপড় ব্যবসায়ী। তবে কিন্তু লকডাউনের সময় থেকে সেই ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। সমীরুলের স্ত্রী-ও তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। সব মিলিয়ে মানসিক অবসাদ ছিল তাঁর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।কনভয়ের সামনে তাঁর আচমকা চলে আসার সঙ্গে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, যোগ্যদের কোনওভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না। সবাই যাতে কাস্ট সার্টিফিকেট হাতে পান, সোমবার নবান্নের বৈঠকে তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া জনজাতির জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক বসে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আদিবাসীদের জমি কেউ নিতে পারবে না। কিন্তু এই মুহূর্তে কেন্দ্র থেকে সরকারি অনুদান না আসায় বৈঠকে উপস্থিত উপদেষ্টা পরিষদকে মমতা জানান, এই মুহূর্তে কোনও টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। সামগ্রিকভাবে আদিবাসীদের উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত তা জানানোর নির্দেশ দেন।
পাশাপাশি এদিন সব আদিবাসী ভাষাকে একত্রিত করতে বুলুচিক বরাইক, সন্ধ্যারানী টুডু, জ্যোৎস্না মান্ডি এবং বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করে দেন মমতা। মূলত জনসংযোগ বাড়াতে বিধায়কদের মানুষের কাছে পৌঁছনর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, রাজনৈতিক রং দেখে নয়, সকলের জন্য কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একবারও ঠিক এমনই ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় ঘটনাস্থল ছিল হুগলি। ডানকুনির টোল প্লাজার সামনে আসতেই আচমকা ডানকুনি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শুভজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একটি খয়েরি খাম হাতে মমতার গাড়ির সামনে এগিয়ে যান। সেই সময় চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগীর নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়কে রাস্তা করে দিচ্ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। তখনই শুভজিৎ এই কাণ্ড ঘটানোয় কার্যত ক্ষুব্ধ হন পুলিশ কমিশনার।