দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ চলছিল প্রশাসনিক বৈঠক। সেই বৈঠকে একে একে বিধায়কদের থেকে জানতে চাইছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু তার মধ্যে যে মহানায়ক উত্তম কুমার হাজির হবেন কে জানত!
বুধবার দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানেই তিনি রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক মনোজ মালব্যর উদ্দেশে হঠাৎ বলেন, “ডিজির কিছু বলার আছে?” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন শুনে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন ডিজি। সেই সময়েই মমতা স্মিত হেসে বলেন, “আমাদের ডিজি খুব শান্তশিষ্ট। দেখতে শুনতে দেখো…একেবারে উত্তম কুমারের মতো!”
প্রশাসনিক বৈঠক থেকে হাল্কা চালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য অনেক সময়েই এসেছে। এ বার তিনি প্রশংসা করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যর। তাঁর রূপের প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, মনোজ মালব্যকে একে বারে উত্তর কুমারের মতো দেখতে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিক ভাবে মজার সুর উঠেছে গুরুগম্ভীর প্রশাসনিক বৈঠকেও।
মুখ্যমন্ত্রীর ওই কথা শুনে গোটা হল হাসিতে ফেটে পড়ে। মমতা এও বলেন, এই দুটো (পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান) এসপি-ও খুব ভাল, ডিএম দুটোও ভাল। আগামী দিন এখানে ডেডিকেটেড ফ্রেড করিডোর হবে। এখানে অনেক টাকার বিনিয়োগ আসবে।”
মনোজ মালব্য ১৯৮৬ ব্যাচের আইপিএস। দীর্ঘদিন রাজ্যপুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন এই অফিসার। তিনি শিক্ষাবিদ তথা জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি পণ্ডিত মদনমোহন মালব্যর প্রপৌত্র। যিনি পরবর্তীকালে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
মনোজ মালব্যর বাবা গিরিধারী মালব্য ছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। ২০১৪ সালে বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদী যখন লোকসভায় মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তখন ছ’জন প্রস্তাবকের মধ্যে একজন ছিলেন গিরিধারী মালব্য।
সেই পরিবারের সন্তান মনোজ মালব্য। তিনি এখন বাংলার পুলিশের মহানির্দেশক। কিন্তু তিনি কি কখনও জানতেন তাঁর চেহারার সঙ্গে তুলনা হবে বাংলার মহানায়কের?
দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ঘণ্টা দেড়েক কথা বলেন প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানে জেলাশাসক থেকে পুলিশের শীর্ষ কর্তারা, পাশাপাশি জেলা সভাধিপতি থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাও উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক ছিল মূলত পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের। সেখানেই তিনি দুই বর্ধমানের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিলেন।