দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আজ দিল্লিতে যখন সংসদ অধিবেশন চলবে, তখন কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বসতে চলেছে সর্বভারতীয় তৃণমূলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন তৃণমূল নেত্রী তথা দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৈঠকে সংসদে তৃণমূলের নতুন কৌশল ঠিক করে দেবেন দলনেত্রী।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের অবস্থান কী হতে চলেছে, তা ঠিক করতেই এই বৈঠক। আগামী কয়েকমাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘাসফুল শিবিরের জন্য। নতুন বছরে রয়েছে একাধিক রাজ্যয় নির্বাচন। গোয়াতে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি জোড়াফুলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন একাধিক সর্বভারতীয় স্তরের নেতারা। রয়েছেন লুইজিনহো ফেলারিও, অশোক তনওয়ার, রাজেশপতি ও ললিতেশপতি, কীর্তি আজাদ, পবন বর্মা সহ অনেকেই। গত সপ্তাহেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা। তাই জাতীয় স্তরে দলের অবস্থান কী হতে চলেছে, তা নিয়েই বৈঠক। এই বৈঠকে ওয়ার্কিং কমিটির ২১ জন সদস্যকেই হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে তৃণমূলে সদ্য যোগ দেওয়া বিভিন্ন রাজ্যের নেতা-নেত্রীদের কয়েকজন উপস্থিত থাকতে পারেন। তাঁদের কাছে সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলের লক্ষ্য ব্যাখ্যা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হল, সংসদের চলতি অধিবেশন থেকে সর্ব ভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের নয়া অবস্থান এবং কৌশল ঠিক করা।
তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘এদিনের বৈঠকে দলের সমস্ত নেতাদের মধ্যে আলাপ আলোচনা, সমন্বয় সাধন করা হবে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি ভিন রাজ্যের সংগঠন গড়ে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন।’
মমতা বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মোটেও আন্তরিক নয়। গত সপ্তাহের দিল্লি সফরে তিনি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে পর্যন্ত দেখা করেননি। পাশাপাশি কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি, তাও স্পষ্ট হয়েছে দিল্লি সফরে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সনিয়ার দলকে খানিকটা দূরে রেখে অন্য আঞ্চলিক দলগুলিকে সংগঠিত করার চেষ্টা চালাবে তৃণমূল। তবে পুরোপুরি কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে না। কংগ্রেস এবং অন্য দলগুলি যাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপিকে সহযোগিতা করার পাল্টা অভিযোগ তুলতে না পারে, সেজন্য আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কক্ষ সমন্বয় করবে জোড়াফুল শিবির।ওইসব দলের সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক রক্ষার ভার তাই দলনেত্রী ভাগ করে দিতে চান প্রবীণ সাংসদ ও নেতাদের মধ্যে।
রবিবারই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সংসদে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে তৃণমূল ফ্লোর কো-অডিনেশনে যাবে না। আজ কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বৈঠকে যে কারণে থাকছে না দল।
অন্যদিকে, আজ থেকে শুরু হয়ে গেল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেই অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভা সাংসদদের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করা হবে এদিনের বৈঠকে।