দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করা হবে বেলুড়, দক্ষিণেশ্বরেও । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বাবুঘাটে গঙ্গাসাগর মেলায় যোগ দিতে আসা পূণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে সরকারের এই ভাবনার কথা জানান।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে সাগর মেলা। আগামীকালই স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। দিনটি গোটা দেশে যুব দিবস হিসাবে উদযাপিত হয়। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী বাবুঘাটের অস্থায়ী শিবিরে হাজির পূণ্যার্থীদের স্বাগত জানান।
ভাষণে অনেকটা সময় তিনি গঙ্গা আরতি নিয়ে বলেন। বারাণসীর ধাঁচে কলকাতায় গঙ্গার ঘাটে সন্ধ্যা আরতি চালু করার নির্দেশ আগেই দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, বেলুড় এবং দক্ষিণেশ্বরেও গঙ্গার ঘাটে আরতির আয়োজন করা হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে এখন বেড়ানো, তীর্থ করতে যাওয়ার অনেকগুলি জায়গা হয়েছে। মানুষ সহজেই সে সব জায়গায় পৌঁছে যেতে পারছেন।
বিবেকানন্দের স্মৃতিরক্ষায় তাঁর সরকারের পদক্ষেপগুলি স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কলকাতায় বিবেকানন্দের বাড়ি বেদখল হয়ে যাচ্ছে শুনে কয়েক ঘণ্টার নোটিসে ভবনটি অধিগ্রহণ করে রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। একইভাবে দার্জিলিংয়ে ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতি বিজড়িক বাড়িটি উদ্ধার করা হয় দখলদারদের হাত থেকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দর হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করি যা মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়।
বাবুঘাটে গঙ্গাসাগর মেলার অনুষ্ঠানে এদিন মুখ্যমন্ত্রীনাম না করে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে মমতা জানান, “এই মেলা অন্য মেলার থেকে আলাদা৷ কুম্ভ মেলা জাতীয় মেলা হিসাবে কেন্দ্র থেকে অনুদান পায়। কুম্ভ রেল ও সড়ক পথে সংযুক্ত৷ কিন্তু এখানে জল পেরিয়ে সকলকে যেতে হয়। অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়।
পুলিশকে দিনরাত কাজ করতে হয়। আগে মেলায় ট্যাক্স ছিল। এটা আমরা তুলে দিয়েছি। এখন সকলের জন্য বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি চাইনা কোনও অঘটন ঘটুক। তাও ৫ লাখ বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভাল ওখানে। এছাড়া নেভি, সেনা, এনডিআরএফ, বিদ্যুৎ দফতর সবাই আছে। থাকার জন্য ঘর করে দেওয়া হয়েছে।” সাগরে রাজ্যে সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা৷