পায়ের সমস্যা থাকায় আপাতত ঘরবন্দি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দীর্ঘদিন পর পুজো কার্নিভালের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তিনি। যাবতীয় নানা কাজ বাড়ি থেকেই করছেন। বাকিটা সময় অবসরে কাটাচ্ছেন। আর এই ফুরসতেই ফের কবির ভূমিকায় ধরা দিলেন মমতা।
পালাবদলের পর বাংলায় ক্ষমতায় এসে তিনিই চালু করেছেন ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। সেইসঙ্গে নারী শক্তির উন্নয়নে তাঁর হাত ধরেই রাজ্যে চালু হয়েছে ‘কন্যাশ্রী’ ও ‘রূপশ্রী’র মতো প্রকল্প। শনিবার লক্ষ্মীপুজোর দিন সেই ‘লক্ষ্মী’কে মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করলেন তাঁর নতুন কবিতা, ‘আমার লক্ষ্মী’।
বাংলার নারী শক্তিকে কুর্নিশ জানিয়ে যেখানে ছত্রে ছত্রে মমতা বর্ণনা করেছেন তাঁর দুর্জয় লক্ষ্মীর কথা। যে লক্ষ্মী গ্রাম বাংলার বিদ্যালয়ে সরস্বতীর গান গাওয়ার পাশাপাশি নির্ভয়-দুর্জয় হিসেবে প্লেনও চালায়। বিভেদ ঘুচিয়ে কবিতায় তাঁর লক্ষ্মীকে তিনি এগিয়ে নিয়ে গেছেন প্রতিটি বাধা টপকে। সবমিলিয়ে ২৪ লাইনের এই কবিতায় প্রতিটি লাইনেই মমতা গেয়েছেন নারী শক্তির জয়গান।
কখনও রাজনীতি আবার কখনও শিশুদের জন্য, এর আগেও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর একাধিক বই। সাধারণ কবিতা থেকে বাচ্চাদের জন্য ছড়া। তাঁর কলমে উঠে এসেছে জীবনের নানা দিক। লোকে তা বিশেষ আগ্রহে সংগ্রহও করেছেন। যথেষ্ট প্রশংসিতও হয়েছে সেগুলি।
বস্তুত, বাংলার বহুল প্রচলিত প্রবাদ ‘রূপে লক্ষ্মী, গুনে সরস্বতী’র কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর এই কবিতা। কীভাবে লক্ষ্মীরূপী মহিলাদের গুণপনায় সংসার ভরে ওঠে, পাশাপাশি নিজস্ব শক্তিতে তারাই কীভাবে বিশ্ব জয় করেন, কবিতায় তারই বর্ণনা দিয়েছেন মমতা।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় এর আগেও নানা কবিতা লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও উৎসবে বা কখনও প্রতিবাদে, কলম চলেছে মমতার। বিপন্নতা, সঙ্কট, আনন্দ-সমস্ত পরিস্থিতিতেই সমকালীন ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। এবার লক্ষ্মীপুজোর দিনে ফের কবিতা লিখে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।