যুগ যুগ ধরে বাঙালির খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত একটি খাদ্য হল মুড়ি। সকাল, বিকেল, সন্ধ্যে, রাত্রি যে কোনো সময় বাঙালির মুড়ি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। মুড়ি সহজপাচ্য আর তাই বাঙালির কাছে আরো বেশী করে পছন্দের খাবার। মুড়ির নানা রূপ সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। সকালে আলুর চপ সহযোগে মুড়ি বা বিকেলে শপিং করতে গিয়ে ভেলপুরি অথবা সান্ধ্য জলখাবারে চানাচুর বা তেলেভাজা সহযোগে মুড়ি কিংবা রাতে দুধ মুড়ি বাঙালির সব চলে। ওই যাকে বলে ‘একই অঙ্গে এত রূপ।’
যাই হোক, আজ আমি মুড়ির এমন একটি রেসিপি নিয়ে এসেছি যা হয়তো সচরাচর আমরা খাই না বা খাই নি। একটু অন্যরকম কিছু বানাব বলে এই রেসিপিটি ভেবেছিলাম আর আমি হলফ করে বলতে পারি রেসিপিটি ট্রাই করলে ঠকবেন না!
নিশ্চয়ই করে বানাবেন কিন্তু।
রেসিপি: মুড়ি ড্ৰাই ফ্রুটস মালপোয়া
উপকরণ:
মুড়ি ১/২ কাপ, ময়দা ১/২ কাপ, মিল্ক পাউডার ১/৪ কাপ, লিকুইড দুধ ১.৫০ কাপ, চিনি ১/২ কাপ+চিনি ৪ টেবলচামচ, এলাচ গুঁড়ো ১/৪ চা-চামচ, বেকিং সোডা ১/৪ চা-চামচ, গোটা মৌরি ১ চা-চামচ, কিসমিস ১ চা-চামচ, কাজু ১ চা-চামচ, আমন্ড ১ চা-চামচ, পিস্তা ১ চা-চামচ, ভাজবার জন্য সাদা তেল, জল ১/২ কাপ
প্রণালী:
প্রথমে মিক্সার-জারে মুড়ি গুঁড়ো করে নিন। একটি মিক্সিং বোলে প্রথমে ময়দা দিন। তারপর এক এক করে মিল্ক পাউডার, ৪ টেবলচামচ চিনি, মৌরি, বেকিং সোডা এবং গুঁড়ো মুড়ি দিন। এবার বিটার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে অল্প অল্প করে দুধ মিলিয়ে একটা বেশী পাতলা নয় আবার বেশী গাঢ় নয় এরকম ঘনত্বের ব্যাটার বানিয়ে নিন। তারপর ব্যাটারটা ৩০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর এই ব্যাটারে ড্ৰাই ফ্রুটস মিশিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে তেল দিন। তেল অল্প গরম হলে সার্ভিং স্পুনের সাহায্যে ব্যাটার তুলে তেলে একই জায়গায় ছাড়ুন যাতে ছড়িয়ে না যায়। এপিঠ ওপিঠ সোনালী রঙ ধরা পর্যন্ত ভেজে তুলে নিন। এবার চিনির সিরা বানানোর জন্য গ্যাসে আরেকটি পাত্র বসিয়ে ১/২ কাপ চিনি দিন। এলাচ গুঁড়োটাও দিয়ে দিন। জল দিন। এরপর চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত মিডিয়াম আঁচে রাখতে হবে। তারপর গ্যাস লো মিডিয়াম আঁচে করে ১০-১২ মিনিট ফোটান। সিরা ঠান্ডা হলে এতে মালপোয়া এপিঠ ওপিঠ করে মিশিয়ে নিন। এই অবস্হায় ৩০ মিনিট রাখুন। তৈরি মুড়ি ড্ৰাই ফ্রুটস মালপোয়া। উপরে ড্রাই ফ্রুইটস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।