‘মৌনী অমাবস্যার’ ‘অমৃত স্নানের’ আগে মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তরপ্রদেশের ত্রিবেণী সংগমে পদপিষ্টেরপরিস্থিতি তৈরি হল। ঘটনায় বহু পূণ্যার্থী আহত হন, অনেকে আবার ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসমর্থিত সূত্রের দাবি, কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনার জেরে সে সময় অমৃত স্নান আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। আহতদের ভর্তি করা হয় মেলা প্রাঙ্গনের হাসপাতালেই। প্রায় ৩০ জন মহিলা আহত হয়েছে। প্রশাসনের একটি অংশের দাবি, বিপুল ভিড়ের কারণেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
মহাকুম্ভ মেলায় ঠিক কী হয়েছে, কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সেইসব বিষয়ে খোঁজ নিতে রাতেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় প্রশাসনকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘শাহি স্নান’ করতে আসা পুণ্যার্থীদের ‘সংযত’ থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আর্জি, ‘কোনও গুজবে কান দেবেন না। যে যেখানে আছেন, কাছাকাছি ঘাটে স্নান করুন।’
মৌনী অমাবস্যাকে কেন্দ্র করে কুম্ভমেলায় ভিড় হয়েই থাকে। তারওপর এবারে মহাকুম্ভ মেলায় ১৪৪ বছরে বিরল ‘ত্রিবেণী যোগ’ পড়েছে। ফে অমৃত স্নান করতে গভীর রাতে আচমকা হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। জানা যাচ্ছে, রাত আড়াইটে নাগাদ পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাতে জখম হন একাধিক মহিলা।
ঘটনার পর পরই পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে যোগীকে চার বার ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও যোগীকে ফোন করে পরিস্থিতির খবরাখবর নিয়েছেন। কেন্দ্রের তরফে সব রকম সাহায্যেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাকুম্ভের মেলাপ্রাঙ্গণে মাইকিং করে ভিড় এড়িয়ে চলার ঘোষণা করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়াও, হেলিকপ্টার থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
ঘটনার জেরে অমৃতস্নান শুরুর ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হয়। মেলা কর্তৃপক্ষর তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত আখড়াগুলির স্নান স্থগিত রাখা হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পূণ্যার্থীদের আগে স্নানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। ভিড় সামলাতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ কর্মী।