দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মগরাহাটের মাগুরপুকুরে জোড়া খুন। প্রথমে গুলি, তারপর গলা কেটে খুনের অভিযোগ। নিহতদের মধ্যে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
সূত্রের খবর, শনিবার সকালে মাগুরপুকুরে একটি গরুরহাট চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার। এরপর বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা নাগাদ ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি গণ্ডগোল তৈরি হয়। সেই সময় দুই সিভিক পুলিশ গণ্ডগোল থামাতে যায়।
অভিযোগ, তখনই প্রায় ১৫-১৬ জনের মতো একদল দুষ্কৃতী ওই দুই সিভিক পুলিশকে জোর করে একটি দোকানের ভিতর ঢুকিয়ে নেয়। সেখানেই দু’জনকে গুলি করা হয়। এরপর কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁদের। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয়রা ওই এলাকা ঘিরে রাখে। ঘটনার পরই এলাকায় পৌঁছেছে মগরাহাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও।
পবিত্র রমজান মাস চলছে। তার মধ্যেই মগরাহাটে মাগুরপুকুরে গরুর হাটে দুই যুবককে প্রথমে গুলি করে, তার পর কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে মাগুরপুকুরে গরুর হাট বসেছিল। সেখানেই গরু কেনাবেচা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাদে। গরুর হাটে নিরাপত্তা ও নজর রাখার দায়িত্বে ছিলেন দুই সিভিক পুলিশ। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে গণ্ডগোল লাগার পর এক যুবক ও এক সিভিক পুলিশকে ধরে নিয়ে কাছেই একটি দোকানের মধ্যে ঢুকিয়ে শাটার নামিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, তার পর প্রথমে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে, পরে গলা কেটে খুন করা হয়। নিহতদের নাম বরুণ রায় ও অমর রায়। এর মধ্যে বরুণ সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে।
ওই ঘটনার পরই আশপাশের গ্রামের কয়েকশ মানুষ গরুর হাটকে ঘিরে ফেলে। তার পর সেখানে তারা একটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে এসডিপিও সহ বিশাল পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ডায়মন্ড হারবারের কাছে মগরাহাটে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব নতুন নয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, গরুর হাটকে কেন্দ্র করে আগেও মারপিট, খুন জখম হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণের তেমন চেষ্টা কখনও দেখা যায়নি পুলিশের তরফে।