দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা আবহে রাত পোহালেই সোমবার থেকে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক। মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকল রুখতে পর্ষদের তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ইন্টারনেট মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দিতে পারে পরীক্ষার্থীরা। ‘কড়া’ রাজ্য তাই ঠিক করেছে পরীক্ষাচলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে কিছু কিছু এলাকায়। দুষ্টুমির সম্ভাবনা কম না বেশি, তার বিচার করে চিহ্নিত করা হয়েছে কিছু কিছু এলাকা। সোমবার থেকে পরের সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত আট দিন (বৃহস্পতি ও রবিবার স্বাভাবিক থাকবে পরিষেবা) ওই এলাকাগুলিতে চার ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট।ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে বিষয়টি। শনিবার দফতরের এক আধিকারিক একথা জানিয়েছেন, সোমবার থেকে দুপুরে ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যা হতে পারে বিভিন্ন জায়গায়।
একটি নির্দেশিকায় এই কড়াকড়ির যুক্তিও ব্যখ্যা করেছে রাজ্য। তাতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সংবিধান যেমন আমাদের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়, তেমনই নাগরিকদের স্বার্থে সেই স্বাধীনতা খর্ব করতেও পারে। যদিও একই সঙ্গে রাজ্য তার বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ফোন বা এসএমএস করা যাবে ওই এলাকাগুলি থেকে।
২০২১ সালে মাধ্যমিক হয়নি। ২০২০ সালেও আচমকাই অতিমারি শুরু হওয়ায় কিছু আগে শেষ হয়েছিল পরীক্ষা। তবে পরীক্ষা শুরুর আগে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার কথা ভোলেনি রাজ্য। তা মনে রেখেই এই অতিরিক্ত সতর্কতা।
পরীক্ষার আগে বা পরীক্ষা চলাকালীন যাতে প্রশ্নপত্র কোনও ভাবেই হলের বাইরে না যায় তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের তরফে একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার অর্থাৎ ৭ মার্চ থেকে ৯ মার্চ, ১১ মার্চ, ১২ মার্চ এবং ১৪ থকে ১৬ মার্চ এই আটদিন সকাল ১১টা থেকে ৩টে ১৫মিনিট পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে ‘বিশেষ কিছু’ এলাকাগুলিতে।
গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এই বছর মাধ্যমিকে বসবে ১১ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রী। তার আগে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়। জানানো হয়, পরীক্ষাকেন্দ্রে দূরত্ব বিধি মানতে হবে। সকলকে মাস্ক পরতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। কোভিডের জন্য পরীক্ষাকেন্দ্রও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। বেঞ্চের আকার, ছাত্রসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষার্থীদের বসার আয়োজন করা হবে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র কোভিড কেন এই সময় পক্সও হয়, প্রতিবারই আলাদা ঘর রাখা হয়। কারওর তা হলে উত্তরপত্র স্যানিটাইজ করে নেওয়া হয়। এই বছরও প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে আইসোলেশন রুম থাকবে। কেউ অসুস্থ হলে সেখানে পরীক্ষা দেওয়া যাবে। পাশাপাশি হাসপাতালে বা ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক এবং শিক্ষকদের উপস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে মাধ্যমিক শুরু হলেও করোনার কারণে গতবছর পরীক্ষা হয়নি। তবে করোনা কাঁটা পেরিয়ে এবছর ফের মাধ্যমিক হতে চলেছে। কোভিড বিধি মেনেই পরীক্ষা হবে।