দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তাপস রায়ের পর এবার মদন মিত্র। রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবছেন একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক । ২০২৬ সালের পর আর ভোটে দাঁড়াবেন কিনা ভাবতে হবে, এমনটাই দাবি কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের।
কিন্তু ঘাসফুলের টিকিটে ১১ বার জিতে আসা বিধায়ক, এককালের মন্ত্রীর মুখে অবসররের ভাবনা কেন? জবাব দিয়েছেন মদন মিত্র নিজেই। একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মদন বলেন, ‘আপাতত ২০২৬ অবধি বিধায়ক আছি। তারপর নতুন করে ভাবতে হবে। সকলকেই ভাবতে হবে, যে আর দাঁড়ানো উচিত কিনা। অন্য কারও দাঁড়ানো উচিত কিনা। আমার থেকে ভাল আর কেউ আছে কিনা। আমি বিধানসভায় গিয়ে অনেককেই বলতে শুনেছি, উনি ১১ বারের বিধায়ক। আমার খারাপ লাগে। সেটা না করে ছেলে, নাতি এঁদের সুযোগ দিলে ভাল হত।’
তাঁর আরও দাবি, ‘আমার খেলা দেখে নতুন প্রজন্ম শিখবে। নিজেকে নিজের মতো গুটিয়ে নিয়েছি। যা না পাওয়ার ছিল, সেটা না পাওয়াই থাক। রোদন ভরা এ বসন্তের গান গাইতে যাইনি। আশি কেজি ওজন হয়ে গেছে। এটা ঠিক নয়। অনেক দিন তো হল।’প্রশ্ন উঠছে, দলের অভ্যন্তরে গুরুত্ব পেতেই কি ‘চাপ বাড়ানো’র কৌশল নিলেন মদন?
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের মুখেও শোনা গিয়েছিল একই সুর। অন্য পেশার মতো রাজনীতিতেও বয়সের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। ‘আমি ব্যক্তিগত মনে করি, রাজনীতিতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আর থাকা উচিত নয়। আমি গাওস্করের ভক্ত। আমাদেরও নির্দিষ্ট বয়সের পর অবসর নেওয়া উচিত।
আমি আগেও বলেছি, আমি দলকে সঠিক সময়ে জানিয়ে দেব অবসরের কথা,’ জানিয়েছিলেন তাপস।
বরানগরের বিধায়কের সেই মন্তব্যের রেশ টেনেই কামারহাটি বিধায়কের দাবি, ‘একটা সময় তো ৭২’কে যেতেই হবে। ১৯৭২ চলে গেছে। আর বয়সের বাহাত্তররা যাবে না?’
তবে রাজনীতিতে বয়স বেঁধে দেওয়ার পক্ষে সবার আগে সওয়াল করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর একটি সাক্ষাৎকারে অভিষেক বলেন, সরকারি বেসরকরি সমস্ত ক্ষেত্রে মানুষ ৬০-৬৫ বছরের বেশি কাজ করে না।
রাজনীতিও সেরকম ভাবেই করা দরকার বলে মনে করেন তিনি, জানিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর সেই মন্তব্যেরই প্রতিফলন এবার দেখা যাচ্ছে একের পর এক দুঁদে রাজনীতিবিদদের কথায়।