দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিজেপিতেই যাচ্ছেন অর্জুন সিং। গত ১০ তারিখ থেকে টানা জল্পনার পর অবশেষে তাঁর বিজেপিতে ফেরার কথা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে দিলেন নিজেই।
এখনও পর্যন্ত ব্যারাকপুর আসনের জন্য বিজেপি কোনও প্রার্থী ঘোষণা না করলেও, অর্জুনের এই ঘোষণায় জল্পনা আরও জোরাল হচ্ছে, তবে কি পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে পদ্ম শিবিরের প্রার্থী হতে চলেছেন অর্জুন সিংই?
সংবাদমাধ্যমে অর্জুন এদিন জানান, শুধু তিনি নন, আরও এক বড় নেতা যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। তিনি বলেন, যোগদান দিল্লি বা কলকাতা, যে কোনও জায়গাতেই হতে পারে। অর্জুনের কথায়, ব্যারাকপুরের হাজার হাজার কর্মীরা মুখিয়ে আছে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য।
তৃণমূলের ব্রিগেডের দিন ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই তালিকায় নাম ছিল না অর্জুনের। তারপরই তিনি দলের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন।সেখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে পার্থ ভৌমিককে। সেই ঘোষণার পর থেকেই অর্জুনের দলবদলের জল্পনা নতুন করে শুরু হয়।
উনিশের লোকসভা ভোটেও তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। তারপর তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। মাঝে তৃণমূলে ফেরেন। কিন্তু এবারও তাঁকে ব্যারাকপুর থেকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল। প্রথম থেকেই অনুমান করা হয়েছিল, কোনও অঘটন না ঘটলে উনিশের লোকসভা ভোটের মতো এবারও অর্জুন সিং ব্যারাকপুর থেকেই ভোটে লড়বেন। আর তা পদ্মফুল প্রতীকে। বিজেপিতে যোগদানের ঘোষণা তো তিনি করেছেন। এবার এটাই দেখার, আদৌ তিনি প্রার্থী হন কিনা।
কদিন আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছেড়েছিলেন তাপস রায়। তিনি গেছেন বিজেপিতে। সূত্রের খবর, অর্জুনের সঙ্গে তাপস রায়ের বারংবার কথা হয়েছিল দল ছাড়ার আগে। তাপস রায় ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। সেই সুবাদে অর্জুনের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিলই। দল ছাড়ার আগে বিধানসভায় তাপস রায়ের সঙ্গে দীর্ঘ আড্ডা হয়েছিল অর্জুনের। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে দিয়েছেন অর্জুন। সুতরাং বলা যায়, দলবদলের ক্ষেত্র আগে থেকেই প্রস্তুত করে রেখেছিলেন তিনি।
অর্জুন সিংয়ের প্রসঙ্গে বু্ধবারই পরোক্ষে বড় মন্তব্য করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরকন্যার সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, “অর্জুন তো এখনও বিজেপির সাংসদ। আর কে কোথায় দাঁড়াবে, সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে আমি কিছু বলব না।” বিষয় হল, মমতার এই মন্তব্যের আগে তৃণমূলের তরফে অর্জুনকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। বলা হয়েছিল, তাঁকে বরাহনগর আসনের উপনির্বাচনে দল প্রার্থী করবে, এমনকী মন্ত্রিসভাতেও জায়গা দেওয়া হতে পারে। যদিও এই প্রস্তাবে বরফ গলেনি।