লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট মিটেছে কয়েক দিন আগেই। আর বাকি তিন দফার ভোট। তারপরেই ফল ঘোষণা। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন জানা যাবে দেশের সিংহাসনে বসতে চলেছে কে। ফের একবার ক্ষমতা কায়েম করতে মরিয়া কেন্দ্রের শাসক দল। অন্যদিকে শাসকদলের পাশা উলটে দিতে পিছিয়ে নেই বিরোধী শিবিরও।
লোকসভায় ৪০০-রও বেশি আসন পাওয়ার ব্যাপারে প্রত্যয়ী বিজেপি নেতৃত্বের মুখে একাধিক বার শোনা গিয়েছে, ‘এ বার ৪০০ পার’ স্লোগান। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর যদি বিজেপি সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় জাদুসংখ্যা বা ‘ম্যাজিক ফিগার’ না পায়, তখন কী হবে? এই বিষয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রত্যয়ের সুরেই শাহ জানিয়েছেন, জাদুসংখ্যা ছোঁয়ার জন্য তাঁরা কোনও ‘প্ল্যান বি’ বা বিকল্প ভাবনা রাখছেনই না।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট প্রচারে এসে অমিত শাহ সম্প্রতি দাবি করেন, তাঁরা হিসেব করেছেন, চার দফা ভোটের পরই বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ”এ পর্যন্ত ৩৮০টি লোকসভা আসনে ভোট হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৭০ আসনে জয়ী মোদী।
বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।” এখনও ভোট শেষ হতে দেরী। আগামী ৪ জুন স্পষ্ট হয়ে যাবে আদতে বিজেপির এই দাবি সত্যি কিনা। তবে যদি সত্যি না হয়, তাহলে কী করবে গেরুয়া শিবির, সেটাও বলে দিলেন অমিত শাহ।
এক বাক্যে বলতে গেলে, বিজেপির কোনও ‘প্ল্যান বি’ নেই! এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অমিত শাহ বলেন, ”বিজেপি যে ২৭২ আসন পাবে না, এটা হতেই পারে না। দেশের ৬০ কোটি মানুষ নরেন্দ্র মোদী সরকারের সুবিধা পেয়েছেন। তাঁরা বিজেপির সঙ্গে আছেন।
আমজনতা জানেন যে মোদী কী করেছেন, কী করতে পারেন এবং কেন তাঁকে ৪০০ আসন দেওয়া উচিত। তাই বিজেপি যে ৪০০ পার করবে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
অমিত শাহর স্পষ্ট কথা, যাঁদের ‘প্ল্যান এ’ নিয়ে সংশয় থাকে তাঁরাই ‘প্ল্যান বি’ তৈরি করে রাখে। কিন্তু বিজেপির ৪০০ পার করা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এটাই ভীষণ সত্যি কথা যে, বিপুল ভোটে জিতে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাই বিজেপির কাছে ‘প্ল্যান এ’ যথেষ্ট, এটাই সফল হবে। বিজেপির ৪০০ আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলা সহ দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যও যে সাহায্য করবে, এই ব্যাপারেও নিশ্চিত শাহ।
বিজেপির শীর্ষ নেতার বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩০-৩৫ আসন আসছেই। পাশাপাশি তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশেও বিজেপি ভাল ফল করবে। শাহের মত, দেশের রাজনীতির মধ্যে স্থিরতা আনতে বিজেপির ৪০০ আসন পাওয়া খুবই জরুরি।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে শাহের অভিযোগ, তারা দেশকে উত্তর এবং দক্ষিণে ভাগ করছে। দক্ষিণ ভারতের পাঁচ রাজ্য কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হবে বলেও দাবি করেন শাহ।